ফের নতুন করে উত্তপ্ত হল হাথরস। ধর্ষণের পরে মৃত হাথরসের আরও এক মেয়ে। ১৫ দিন আগে আলিগড় জেলার ইগলাস গ্রামে ৬ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। দিল্লির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল সেই নাবালিকা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় নাবালিকার। ফলে ব্যাপক ক্ষোভে মৃতদেহ নিয়েই রাস্তা অবরোধ করে নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা।
জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার বাড়িও হাথরসের সাদবাদ এলাকায়। পরিবারের দাবি, যতক্ষণ পর্যন্ত সঠিক আসামি ধরা পড়ছে ততক্ষণ তারা শেষকৃত্য করবে না। ঘটনাস্থলে বিপুল পরিমাণ পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অবশ্য পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে, তবে পরিবারের দাবি, পুলিশ সঠিক আসামিদের ধরেনি।
উল্লেখ্য, এই হাথরসেই ঘটে যাওয়া নারকীয় আর এক অন্যায়ের প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুঁসছে দেশ। গণধর্ষণের পর নৃশংস অত্যাচারের শিকার হয় এক ২০ বছরের দলিত তরুণী। জানা গিয়েছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে মা এবং ভাইয়ের সঙ্গে মাঠে ঘাস কাটছিলেন ওই তরুণী। কিছুক্ষন পর হাতে ঘাসের বান্ডিল নিয়ে ভাই বাড়ি ফিরে এলেও তখনও মাঠে কাজ করছিলেন মা-মেয়ে।
ঘাস কাটতে কাটতে মায়ের থেকে কিছুটা দূরে চলে যায় ওই তরুণী। কিছু সময় পর মাঠে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে তাঁর খোঁজ শুরু করেন ওই তরুণীর মা এবং পরিবারের লোকেরা। এরপর কিছুটা দূরে দোপাট্টা জড়ানো অবস্থায় বাজরা খেতের মধ্যে মেয়ের ক্ষতবিক্ষত দেহ দেখতে পান পরিবারের লোকেরা।
পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, মোট চার থেকে পাঁচ জন উচ্চবর্ণের যুবক তাঁদের মেয়েকে টেনে হিঁচড়ে বাজরা খেতের মধ্যে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। নির্যাতনের পরিমাণ এতটাই বেশী ছিল যে, ওই তরুণীর ঘাড়ের হাড় এবং শিরদাঁড়া ভেঙে গিয়েছিলো। পুরো পঙ্গু অবস্থায় খেতের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলো সে।
কিন্তু এরপরে হাথরসের ঘটনায় জা নিয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ তা হল, পুলিশের ভূমিকা। হাথরাসের গণধর্ষণ কান্ডে প্রথম থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে নির্যাতিতার পরিবার। নির্যাতিতার দেহ পরিবারের অমতেই জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। হুমকি দেওয়া হয় পরিবারকেও। গর্জে ওঠে সারা দেশ।
নদী বন্দর/এবি