1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
মুক্তিযুদ্ধ শুরুর গৌরবগাথার মাস - Nadibandar.com
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আইএমএফের ঋণের কিস্তিছাড় ইস্যু আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশা গভর্নরের বৈষম্যবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতনের অনুমতি চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন অস্থিরতা কাটাতে রাজনৈতিক ঐক্য দরকার: মির্জা ফখরুল ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পদোন্নতি সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত তিস্তা প্রকল্প নিয়ে শুধু ‘ভাসাভাসা নীতিগত’ আলোচনাই হয়: পরিকল্পনা উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা ইসি নয়, সংস্কার প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা এনসিপির আ.লীগের বিচারসহ ৮ ইস্যুতে ঐকমত্য এনসিপি ও খেলাফত মজলিস রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়নের কাছাকাছি ‘চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে চায় বাংলাদেশ’
নদী বন্দর ঢাকা:
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫
  • ১৫ বার পঠিত

শুরু হলো অগ্নিঝরা মার্চ। মহান স্বাধীনতা এবং আনুষ্ঠানিক সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরুর গৌরবগাথার মাস। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে অধিকার অর্জনের মাস অগ্নিঝরা মার্চ। বাঙালির জীবনে ভাষা আন্দোলনের স্মারক মাস ফেব্রুয়ারির শেষ হতেই মার্চের আগমন। স্বাধীনতার ইতিহাসে যার গুরুত্ব অপরিসীম।

অগ্নিঝরা মার্চ বাঙালির স্বপ্নসাধ যৌক্তিক পরিণতির মাস। আমাদের স্বাধীনতার জন্য চূড়ান্ত লড়াই শুরু হয় এ মার্চেই। এ মাসেই বীর বাঙালি প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। উত্তাল একাত্তরে মার্চজুড়ে বাঙালির চোখে ছিল স্বাধীনতার স্বপ্ন। এ মাসের লেখা শুরু হয়েছিল এক অমর মহাকাব্য, যার নাম বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম ঘটনা হচ্ছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। সশস্ত্র স্বাধীনতাসংগ্রামের এ ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির হাজার বছরের সামাজিক-রাজনৈতিক স্বপ্নসাধ পূরণ হয়। ১৯৭১ সালে এসে যে রাজনৈতিক সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করে, তার গোড়াপত্তন হয়েছিল বহু বছর আগে।

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা আন্দোলনের পথ ধরে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের মার্চে এসে বাঙালির সেই স্বপ্নসাধ যৌক্তিক পরিণতিকে স্পর্শ করে। প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ের গহিনে লালন করা তখনও অধরা স্বাধীনতার দুর্বার আকাঙ্ক্ষা যেন অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এ মার্চেই বাঙালি পাকিস্তানকে বিদায় জানায়।

১৯৭১ সালের ১ মার্চ। সারা দেশই তখন অগ্নিগর্ভ। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এদিন বেতার ভাষণে ৩ মার্চের গণপরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের একটি প্রধান দল পিপলস পার্টি এবং অন্য কয়েকটি দল ৩ মার্চ অনুষ্ঠেয় জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদান না করার ইচ্ছা প্রকাশ করায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ বেতারে এ ঘোষণা প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা প্রচণ্ড বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এ সময় তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়ামে পাকিস্তান বনাম বিশ্ব একাদশের ক্রিকেট খেলা চলছিল।

ইয়াহিয়া খানের ওই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দর্শকরা খেলার মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে আসে। ততক্ষণে হাজারো মানুষ পল্টন-গুলিস্তানে বিক্ষোভ শুরু করে দেন। ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার প্রেক্ষাপট শুরু হয় মার্চের প্রথম দিন থেকেই।

এরপর একে একে পার হতে থাকে ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ একেকটি দিন। আন্দোলন রূপ নেয় স্বাধীনতার আন্দোলনে। ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালায়, শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ।

এ পথ ধরে বাংলার দামাল ছেলেরা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনে একটি স্বাধীন দেশ-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ।

নদীবন্দর/এসএইচ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com