1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
সপ্তাহের ব্যবধানে নিম্নমুখী বেশিরভাগ পণ্যের দাম - Nadibandar.com
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০০ পূর্বাহ্ন
নদীবন্দর,ঢাকা
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫
  • ১৪ বার পঠিত

পবিত্র রমজান শুরুর দুদিন আগে, গত শুক্রবার বাজারে বেড়েছিল বেশ কিছু পণ্যের দাম। এক সপ্তাহ বাদে এখন সেসব পণ্যের দাম কিছুটা কমে এসেছে। সেসব পণ্য ছাড়াও এবার রোজায় অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক পণ্যের দাম স্থিতিশীল ছিল শুরু থেকেই। সব মিলিয়ে বাজারে তেমন বড় কোনো অসঙ্গতি নেই।

রোজার শুরুতে সয়াবিন তেলের যে সরবরাহ সংকট ছিল তাও এখন কমেছে। সব দোকানে খোলা সয়াবিনের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও কোথাও কোথাও বোতলজাত তেলের সরবরাহে এখনো কিছুটা ঘাটতি দেখা গেছে।

রামপুরা বাজারে চঞ্চল ট্রেডার্সের বেলাল হোসেন বলেন, খোলা সয়াবিন আছে। বোতলজাত তেলও এখন দিচ্ছে কোম্পানিগুলো। তবে চাহিদার তুলনায় কম। আগে যে তেল পাওয়াই যাচ্ছিল না, এখন তেমন আর নেই।

শুক্রবার রাজধানীর আরও কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লেবু-শসা বা বেগুনের মতো বাড়তি চাহিদার পণ্যগুলোর দামও কমছে। আগে বেগুন ৮০-১০০ টাকা বিক্রি হলেও এখন ৬০-৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। লেবুর হালি ৪০ টাকা ও শসা ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া অন্যান্য সবজির বাজার আছে আগের মতোই। করলা আর ঢেঁঢ়স ছাড়া বেশিরভাগ সবজির দর কমেছে। প্রতি কেজি করলা ৬০-৮০ এবং ঢেঁঢ়স ৬০-৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া অন্যান্য সবজি কেনা যাচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে। টমেটোর কেজি কেনা যাবে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে।

এছাড়া গত বছর উত্তাপ ছড়ানো পেঁয়াজের ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। খুচরা পর্যায়ে দেশি ভালো মানের প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৪৫ টাকায়। যেখানে গত বছর এসময় বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতাকে খরচ করতে হয়েছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা। একইভাবে আলুর দাম অর্ধেক কমে এখন ২০-২৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে পণ্যের দামে স্বস্তির কথা বলছেন অনেক ক্রেতা। হাসান নামে একজন বলেন, রমজান হিসাবে বাজারে আগে যে হুলস্থুল পরিস্থিতি থাকতো সেটা এবার নেই। বেশিরভাগ পণ্যের দাম নাগালের মধ্যে।

এদিকে রোজা শুরুর কারণে গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা বেড়ে ২২০ টাকায় উঠেছিল। এখন আবার কমে ২০০ টাকার মধ্যে এসেছে। পাশাপাশি ডিমের বাজারও নিম্নমুখী। প্রথম রোজায় ফার্মের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা দরে। ডজনে ১০ টাকা কমে গতকাল বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা দরে। তবে মহল্লার দোকানে কেউ কেউ ডজনে ৫ টাকা বেশি রাখছেন।

এদিকে মোটাদাগে বলতে গেলে এ বছর পবিত্র রমজানে পণ্যের দাম অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশ স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে রয়েছে মুদি পণ্যের দাম। রোজা শুরুর আগেই বাজারে অরাজকতা এবার দেখা যায়নি। তবে চালের দাম বাড়তি রয়ে গেছে, সেটা অবশ্য কমেনি। এ বছর এখন পর্যন্ত চিনি, খেজুর, ডালের দাম কম রয়েছে।

নদীবন্দর/এএস

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com