মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের কারণে দুই দিন বন্ধ থাকার পর বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্যবাহী ট্রলার আসতে শুরু করেছে। এতে খুশি বন্দরের শ্রমিকরা। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, নিয়মিত পণ্য আমদানি-রফতানি সম্ভব হবে। এটা অব্যাহত থাকলে রাজস্ব আদায়ও স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত সোমবার ভোরে মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের পর টেকনাফ স্থলবন্দরে আসেনি মিয়ানমার থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রলার। টেকনাফ থেকেও যায়নি কোনো পণ্য। গত দুদিন সব ধরনের আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল। এতে বন্দরের শ্রমিকদের মধ্যে তৈরি হয় হতাশা। তবে মিয়ানমার থেকে আসতে শুরু করেছে পণ্যবাহী ট্রলার। গতকাল বুধবার দুটি ট্রলার আসায় খুশি বন্দরের শ্রমিকরা।
বন্দরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, সেনা অভ্যুত্থানের পর আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক থাকবে কিনা এটা নিয়ে সংশয় ছিল। কিন্তু দুদিন বন্ধ থাকার পর ট্রলার যোগে আচার ও শুঁটকি আমদানি হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের আশা, আমদানি-রফতানি স্বাভাবিকভাবে করা সম্ভব হবে।
আর বন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা গৌরাঙ্গা ভট্টাচার্য্য জানালেন, বুধবার থেকে পণ্যবাহী ট্রলার আসতে শুরু করায় আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক হবে।
টেকনাফ স্থলবন্দরে গত জানুয়ারি মাসে ৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে, যা মাসিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা কম।
নদী বন্দর / জিকে