দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ সৌরবিদ্যুৎ থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন করবে। আর এ বিদ্যুৎ কিনবে বিশ্বের খ্যাতনামা পোশাক বিপণনকারী সুইডিশ ব্র্যান্ড এইচঅ্যান্ডএমের (হেন্স অ্যান্ড মরিটজ) পোশাক সরবরাহকারী বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো।
বুধবার (৯ এপ্রিল) বিনিয়োগ সম্মেলনের তৃতীয় দিনে এ বিষয়ে এইচঅ্যান্ডএম, প্রাণ-আরএফএল ও বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্তবর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী, এইচঅ্যান্ডএমের হেড অব সাসটেইবেবিলিটি ফর প্রোডাকশন ইউসেফ এল নাটুর, আইএফসির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক বিক্রম কুমার এসময় নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
জানা গেছে, মৌলভীবাজার জেলার গোবিন্দপুরে অবস্থিত সমন্বিত কৃষি খামারে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। এই জ্বালানি উৎপাদনে তাদের অর্থায়ন করবে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন। প্রাথমিকভাবে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
মৌলভীবাজারের সমন্বিত কৃষি খামারে ৩৫০ একর জমি রয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের। এই জমিতে সৌর প্যানেল স্থাপন করা হবে।
বিশ্বের বড় ক্রেতারা কার্বন নিঃসরণ টেকসই উৎপাদন ব্যবস্থার দিকে নজর দিচ্ছেন। এর মধ্যে এইচঅ্যান্ডএম পরিবেশের ওপর প্রভাব কমাতে এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকেও মনোযোগ দিচ্ছে। এজন্য বাংলাদেশের পোশাক সরবরাহকারীদের কাছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিক্রি করতে চায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘একটি সুন্দর ও সবুজ ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ নিজস্ব যে টেকসই লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তার প্রতিশ্রুতি হিসেবে আমাদের এ খাতে বিনিয়োগ। এছাড়া সরকারের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা পাশে থাকতে চাই।
বর্তমানে সারাবিশ্ব টেকসই ভবিষ্যতের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। আমরাও এ খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। মৌলভীবাজারের গোবিন্দপুরে প্রায় ১০০০ বিঘা জমির ওপর আমাদের সমন্বিত কৃষি খামার রয়েছে, যেখানে সৌর প্যানেল স্থাপন করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।
শুরুতে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ শুরু হবে। এক্ষেত্রে সরকারকে বিদ্যুৎ ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহের জন্য নীতি সহায়তা দিতে হবে। যত দ্রুত নীতি সহায়তা দেওয়া হবে, তত দ্রুত আমরা কাজ শুরু করতে পারব।’
অনুষ্ঠানে আইএফসির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান বিক্রম কুমার বলেন, পরিবেশের ওপর প্রভাব কমাতে এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রয়োজন। সেজন্য আমরা প্রাণ-আরএফএলকে সহায়তা করছি।
নদীবন্দর/এসএইচ