সবাইকে নির্ভয়ে টিকা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাপস এই আহ্বান জানান।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, যত শিগগির সম্ভব, সবাই নির্ভয়ে অগ্রাধিকারভিত্তিতে নিবন্ধিত হবেন এবং এই টিকা গ্রহণ করবেন। এর মাধ্যমেই করোনা থেকে আমরা মুক্তি অর্জন করব এবং করোনাকে জয় করব।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী লকডাউনের কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা, তার সুদূরপ্রসারী চিন্তা-চেতনার মাধ্যমে আমরা এই মহামারিকে অতিক্রম করতে যাচ্ছি।
সারাবিশ্বে যখন টিকা নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা-হতাশা তখন প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই আমরা টিকা পেয়েছি উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আজ হতে সারাদেশে টিকা প্রদান কার্যক্রম আরম্ভ হয়েছে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশন এলাকায় ১৯টি হাসপাতাল ও চিকিৎসালয়ে কোভিড-১৯ এর টিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আজ ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালে টিকা গ্রহণের জন্য ৫৬ জন নিবন্ধন করেছেন।
অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে টিকা প্রদান কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র শেখ তাপস বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি প্রথম টিকা দেয়া হয়েছিল। এ কয়েক দিন সেটা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কি-না, সবকিছু নির্ণয় করে বৈজ্ঞানিক মতামতের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। সুষ্ঠুভাবে এই টিকাদান কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের সবাইকে করোনা মুক্ত রাখতে পারব, ইনশাআল্লাহ। শুধুমাত্র টিকাদানের মাধ্যমেই আমরা করোনাকে জয় করতে পারি।
ছোটবেলায় আমরা সবাই হাম-চিকেন পক্সের টিকা নিয়েছি, তাই টিকা নিয়ে অহেতুক ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, আমরা ইনশাল্লাহ সবাই টিকা নিয়ে এই করোনাকে জয় করব।
অনুষ্ঠান শেষে শাহ আলম নামে নিবন্ধিত এক ব্যক্তি টিকা নেন। প্রথম দিনে ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালে টিকা গ্রহণের জন্য ৫৬ জন ব্যক্তি নিবন্ধন করেছেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডা.) শরীফ আহমেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নদী বন্দর / জিকে