মিরপুরের শাহআলীর ঈদগাহ মাঠ এলাকায় দুই পক্ষের এলোপাতাড়ি গুলিতে তিন ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তারা হলেন- সাজ্জাদ হোসেন রাব্বি (২৫), মিরাজ ও আরেকজনের নাম জানা যায়নি। আহত সাজ্জাদ একজন ইন্টারনেট ব্যবসায়ী। তার কর্মী হিসাবে কাজ করেন সেই আহত যুবক।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরে আহত ব্যক্তিদের রাতে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত সাজ্জাদের বাসা মিরপুর এক নম্বর সেকশনের নিউ সি ব্লকে। তার বাবার নাম দেলোয়ার হোসেন। অন্যদিকে আহত মিরাজ ঢাকা উত্তর মহানগরীর যুবদলের সদস্য সচিব।
বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দারুস সালাম জোনের এডিসি সালেক মোহাম্মদ জাকারিয়া।
তিনি বলেন, বিপক্ষের গোলাগুলিতে রাব্বিসহ আরও একজন আহত হন। আমরা বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি কেন এমন গোলাগুলির ঘটনা। তবে এখন পর্যন্ত কেউ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অভিযোগ করেনি। তবুও আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।
ঢামেক পুলিশ ফাড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ বলেন, আহতের শরীরে ক্ষত রয়েছে, তবে গুলি পাওয়া যায়নি। আহত রাব্বি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত রাব্বিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানোর কাজে সহায়তাকারী বন্ধু শান্ত জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার দিকে রাব্বিসহ তারা তিন বন্ধু মিরপুর এক নম্বর সেকশনে ঈদগাহ মাঠের পাশে চায়ের দোকানে যাচ্ছিলেন। সেখানে দেখতে পান কিছু লোক জড়ো হয়ে গণ্ডগোল করছে। এরপর তার এগিয়ে যাওয়ার সময় তার বন্ধুর গায়ে গুলি লাগে। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন তারা।
তিনি জানান, সেই ঘটনাস্থলের পাশেই উত্তরা যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজের একটি কার্যালয় রয়েছে। বলেন, মিরাজ ভাইয়ের অফিসের সামনে গণ্ডগোল চলছিল। এই কার্যালয় থেকে প্রায় শতাধিক মানুষ জড়ো হয়ে গুলি করতে থাকে। এ সময় অজ্ঞাত ব্যক্তির এলোপাতাড়ি গুলিতে বন্ধু আহত হয়। বন্ধু রাব্বির পিঠে একটি গুলি লেগেছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও তাদের কাউকে আটক করেনি। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তা আমলে নেয়নি। ফলে তারা আদালতে মামলা করবেন বলে জানান।
নদীবন্দর/এএস