জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে ওই বৈঠক শুরু হয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের অংশ হিসেবে এনসিপির সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এই বৈঠকে বসেছে।
বৈঠকে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধি দল অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। তবে বৈঠকে ঠিক কারা কারা উপস্থিত আছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে, গত ২৩ মার্চ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ওপর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে লিখিত মতামত দেয় এনসিপি। কমিশনের দেওয়া ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ২২টির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে দলটি।
যে সুপারিশগুলো সংবিধানের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, সেগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন ও সংবিধান–সম্পর্কিত বিষয়গুলোর জন্য গণপরিষদ নির্বাচন প্রয়োজন বলেও জানিয়ে দিয়েছে এনসিপি।
এনসিপির কেন্দ্রীয় দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক ও দলটির ‘সংস্কার বিষয়ক সমন্বয় কমিটির’ সদস্য আরমান হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাবনার ক্ষেত্রে আমরা যেসব দ্বি-মত করেছি, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব।
কী কী বিষয়ে তারা দ্বি-মত করেছেন, সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুরোপুরি দ্বি-মত পোষণা করেছি, সেই সংখ্যা অনেক বেশি তা নয়, কিছু ক্ষেত্রে আবার আংশিক একমত হয়েছি। যেমন, চার বিভাগে প্রাদেশিক সরকার, ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে বিভাগ করার ক্ষেত্রে আমরা একমত নই। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে যে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তাতে দ্বি-মত পোষণ করেছি।
আরমান হোসাইন আরও বলেন, সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী একই ব্যক্তি হতে পারবেন না— এই প্রস্তাবনায় আমরা দ্বিমত করেছি। কারণ বাংলাদেশের ক্ষমতার কনটেক্সটে এটি ভারসাম্যহীনতা আনতে পারে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭০-এ অর্থ বিলের ক্ষেত্রে ভোট দেওয়ার বিষয়ে আরও আলোচনা হতে পারে বলে মতামত দিয়েছি। মূলত যেগুলোতে দ্বি-মত পোষণ করেছি, সেইসবই আলোচনার এজেন্ডায় থাকবে।
নদীবন্দর/জেএস