ঋণের কিস্তিছাড় নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে তৈরি মতপার্থক্য আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। নিউইয়র্ক সফরে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের মতবিনিময় সভায় যোগ দিয়ে তিনি বলেন, দায়িত্বের আট মাসে বড় ধরণের ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে ব্যাংক খাতে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর বলেন, রিজার্ভ চুরি, অর্থপাচার ও আর্থিক খাতের সংস্কারসহ নানা ইস্যুতে। গত কয়েকমাসে দেশের আর্থিক খাতের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘উদ্যোগ নেয়া হয়েছে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরানোর।’ এসময় পাচারের অর্থ ফেরাতে প্রবাসীদের সহায়তা চান তিনি।
গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, ‘পাচার হওয়া সম্পদ যত বেশি উদ্ধার করতে পারবো, আমাদের হাত তত শক্তিশালী হবে।’ প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এটাও সত্যি কথা যে, আপনারা হয়তো জানেন কোথায় কার সম্পদ আছে। যেটা আমরা হয়তো ঢাকায় বসে জানতে পারি না। পাচারকারীরা যে পাড়ায় সম্পদ কিনেছে সেই পাড়ার কোনো প্রবাসী হয়তো জানেন যে সেটা কার? এই তথ্যগুলো যদি আমরা সংগ্রহ করতে পারি তাহলে হয়তো আমরা ব্যবস্থা নিতে পারবো।
ঋণের কিস্তিছাড় নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে তৈরি মতপার্থক্য আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশা প্রকাশ করে গভর্নর আরও বলেন, কিস্তিছাড় নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে আমাদের পলিসিগত কিছু মতপার্থক্য আছে। আলোচনায় সেগুলো সমাধান হবে বলে আমি আশাবাদী।
বক্তব্যে রিজার্ভ চুরি নিয়ে নিউইয়র্কে চলমান মামলার সবশেষ পরিস্থিতিও জানান গর্ভনর। নতুন করে দরপত্র আহ্বানের কথা বলেন ডিজিটাল ব্যাংকের। এর আগে কনসাল জেনারেল অফিসে রেমিট্যান্স প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সাথেও বৈঠক করেন গভর্নর।
নদীবন্দর/জেএস