প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত মাহাথির হাসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে তাকে চট্টগ্রামের হালিশহরের আজাদ টাওয়ারের একটি বাসা থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বনানী থানা অপারেশন কর্মকর্তা একেএম মঈন উদ্দিন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের হালিশহরের আজাদ টাওয়ারে অভিযান চালানো হয়। এসময় ১ নম্বর রোডের ৮ নম্বর লেনের এল ব্লকে থাকা বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই মামলার দ্বিতীয় আসামি মাহাথিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে রাতেই ঢাকায় এনে আদালতে তোলা হয়। মাহাথির ঘটনার দিন থেকে পলাতক ছিলেন। তারা তিন বন্ধু হত্যায় জড়িত। এছাড়াও আটজনের নামে মামলা হয়। গ্রেফতার এড়াতে তারা মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে আত্মীয়স্বজনের বাসায় গা ঢাকা দেয়। ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানান তিনি।
মাহাথির গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার চাকৈল গ্রামের মাহামুদুল হাসানের ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র ছিলেন। হাসান পরিবারের সঙ্গে থাকতেন বনানীর কাস্টমস কোয়াটারে। আর পড়াশোনা করতেন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু আলোচিত এ ঘটনার পর তাকেসহ তার দুই বন্ধুর ছাত্রত্ব বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে গাইবান্ধা থেকে এই মামলার মূল আসামি মেহরাজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
উল্লেখ্য, গত রোববার (২০ এপ্রিল) বিকেলে বেসরকারি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে হত্যা করা হয়। পরে রাতেই সেই ঘটনায় বাদী হয়ে তার ফুফাতো ভাই আটজনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় মাহাথিরসহ এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হলো।
নদীবন্দর/জেএস