বরেণ্য কবি ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুকুল চৌধুরী (মঞ্জুরুল করীম চৌধুরী) ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন।) গতকাল মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দিনগত রাত দেড়টার দিকে সিলেটের ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
আজ বুধবার মরহুমের জানাজার নামাজ আজ বাদ জোহর সিলেট নগরের নয়াসড়ক জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে তার মরদেহ প্রিয় প্রতিষ্ঠান শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নেওয়া হয়। জানাজা শেষে তাকে মানিক পীর (রহ.) গোরস্থানে দাফন করা হয়।
মুকুল চৌধুরী শ্রমনিষ্ঠ কবি ও লেখক। গত শতকের সত্তর দশকের মাঝামাঝি থেকে নিরলসভাবে তিনি লিখে গেছেন। কবিতার পাশাপাশি গদ্যসাহিত্যেও তিনি শক্তিমান, ঝরঝরে ও বুদ্ধিদীপ্ত। প্রবন্ধ, গবেষণা, কিশোর-রচনা ও সম্পাদনায় তার রয়েছে স্বচ্ছন্দ ও স্বাতন্ত্র্যপূর্ণ বিচরণ।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবি মুকুল চৌধুরী ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দের ২২ আগস্ট সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের খালোপাড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
মুকুল চৌধুরী তার কর্মের স্বীকৃতি-স্বরূপ বুক অব দি ইয়ার এচিভম্যান্ট এওয়ার্ড, বিএনএসএ, ইংল্যান্ড (১৯৯৬), সাহিত্য পুরস্কার, বাংলাদেশ সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ, ঢাকা (১৯৯৭), রাগীব রাবেয়া সাহিত্য পুরস্কার, সিলেট (২০০৬) ও জালালাবাদ সাহিত্য পুরস্কার, সিলেটসহ (২০১২) বিভিন্ন পদক ও পুরস্কারে ভূষিত হন।
তার প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ২৮টি। এর মধ্যে কাব্যগ্রন্থ ছয়টি, প্রবন্ধ/গবেষণা গ্রন্থ পাঁচটি, কিশোর গ্রন্থ পাঁচটি সম্পাদিত গ্রন্থ ছয়টি। ১৯৯১ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কবিতার বই অস্পষ্ট বন্দর।
নদীবন্দর/এএস