পুলিশ সপ্তাহ- ২০২৫ শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল)। তিন দিনব্যাপী এবারের পুলিশ সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য- ‘আমার পুলিশ আমার দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সকাল সাড়ে ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে ভাষণ প্রদানের মাধ্যমে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন। এরপর তিনি কৃতি পুলিশ সদস্যদের পদক পড়িয়ে দিবেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, পুলিশ সপ্তাহ ঘিরে বাহিনীর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের তৎপরতা শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ইউনিটের প্রেজেন্টেশনে নিজ নিজ ইউনিটের চ্যালেঞ্জগুলো উপস্থাপন করা হবে। এ ছাড়াও জনমনে আস্থা ফেরাতে জনবান্ধব পুলিশ হতে লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়ানো, গবেষণা বৃদ্ধিসহ একগুচ্ছ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে পুলিশ অডিটোরিয়ামে এসবি, সকাল সোয়া ৯টায় সিআইডি, সকাল ১০টায় র্যাবের প্রেজেন্টেশন, পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিবের বৈঠক, ট্যুরিস্ট পুলিশ, পিবিআই ও এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হবে।
১ মে আইজির ব্যাজ প্রদান ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্মেলন এবং বিভিন্ন শ্রেণির নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ও পুলিশ অফিসার্স মেসের বার্ষিক সাধারণ সভা, অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে বর্তমান পুলিশ কর্মকর্তাদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান এবং নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর ২ মে বার্ষিক পুনাক সমাবেশ ও আনন্দ মেলা এবং পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির স্টলের পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী হবে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবারের পুলিশ সপ্তাহে পুলিশের পক্ষ থেকে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করে জনসাধারণের জন্য কমপ্লেইন সেল গঠনের দাবি জানানো হবে। এ ছাড়া পুলিশের জন্য অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিটি এবং এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ ভাতা, স্বতন্ত্র সাইবার ইউনিট গঠনসহ ছয় দফা দাবি তুলে ধরা হবে।
যে ছয় দাবি পেশ করবে পুলিশ:
১. স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করে জনসাধারণের জন্য কমপ্লেইন সেল ও পুলিশের জন্য অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিটি গঠন।
২. এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ ভাতা।
৩. স্বতন্ত্র সাইবার ইউনিট গঠন।
৪. পুলিশের বিভাগীয় হাসপাতালে জনবল বৃদ্ধি ও আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সরবরাহসহ মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা।
৫. একই পদে দীর্ঘদিন চাকরি করার পর অবসরকালে সুপারনিউমারারি পদোন্নতি দেয়া (কনস্টেবল থেকে ইন্সপেক্টর পর্যন্ত)।
৬. মরদেহ দাফন/ সৎকারের সুবিধার্থে পুলিশের অনুকূলে আর্থিক বরাদ্দ দেয়া।
নদীবন্দর/জেএস