ঈদুল আজহা উপলক্ষে ছয় দিন দেশের মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ থাকবে। ঈদের আগে তিন দিন ও পরে তিন দিন এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
সোমবার (১২ মে) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ঈদ প্রস্তুতি বিষয়ক এক বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় সাধারণ মানুষকে নির্বিঘ্নে যাতায়াতের সুযোগ দিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে জরুরি ও বিশেষ পণ্যবাহী যানবাহন এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
যেসব যানবাহন চলাচল করতে পারবে— কোরবানির গরুবাহী যান, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য, পচনশীল দ্রব্য, গার্মেন্টস পণ্য, ওষুধ, সার ও জ্বালানিবাহী গাড়ি।
উপদেষ্টা জানান, সড়কের ওপর বা পাশে কোনোভাবেই পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না। হাটের নির্দিষ্ট সীমানা নির্ধারণ করে তা কঠোরভাবে মনিটর করা হবে।
ঈদে যেন যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না হয়, সেজন্য নজরদারি থাকবে। চাঁদাবাজি রোধে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে বিশেষভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ঈদযাত্রায় চাপ সামাল দিতে রেলপথে অতিরিক্ত কোচ ও ট্রেন সার্ভিস চালু করা হবে। উপদেষ্টা বলেন, গত রোজার ঈদের মতোই দুর্ঘটনাবিহীন যাত্রা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।
ছিনতাই প্রতিরোধে পশুর হাটের পাশে ব্যাংকের বুথ বসানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে করে লেনদেন নিরাপদ থাকবে।
সবশেষে উপদেষ্টা জানান, যাত্রী ও পশুর নির্বিঘ্ন যাতায়াত এবং নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে সমন্বিতভাবে কাজ করছে সরকার।
নদীবন্দর/জেএস