গতকাল রোববার ১৮ মে দুপুরে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়াকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে ভাটারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিনেত্রীকে ডিবি কার্যালয় নেওয়া হয়।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ভাটারা থানা এলাকায় শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেত্রীকে গ্রেফতার দেখানো হয়। আজ সকালে এ মামলার শুনানি শেষে অভিনেত্রীকে কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেফতারের পরে প্রশ্ন উঠছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় কোথায় অবস্থান করছিলেন অভিনেত্রী ? তিনি কি সত্যি ছাত্র আন্দোলনের বিরোধীতা করেছিলেন। এমন অনেক প্রশ্ন সামনে আসছে। আন্দোলনের সময় ফারিয়ার বিদেশযাত্রা ও অবস্থানের গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে পাওয়া গেছে ‘ঢাকা টু দুবাই টু কানাডা’ টিকিট এবং রিটার্ন টিকিট।
জানা গেছে, ফারিয়া কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন ৯ জুলাই, ২০২৪। দেশের ফেরেন ১৪ আগস্ট, ২০২৪। আন্দোলনের আগেই দেশ ছেড়ে বিদেশে গিয়েছিলে অভিনেত্রী। তাহলে কীভাবে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন বলে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠজনেরা।
ফারিয়ার একাধিক ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় অভিনয় ও এ সিনেমা নিয়ে তাঁর বক্তব্যই মামলায় হয়তো নতুন রসদ জুগিয়েছে।
চলতি বছরের ২২ মার্চ ইউটিউবে প্রচারিত একটি পডকাস্টে ফারিয়া ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো সিনেমাটি নিয়ে মুখ খোলেন। সেই অনুষ্ঠানে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, মুজিব সিনেমায় শেখ হাসিনা চরিত্রে অভিনয় করা নিয়ে তাঁর মধ্যে কোনো অনুশোচনা আছে কিনা?
উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি বলতে চাই, এখানে অনুশোচনার মতো কিছুই নেই। এই সিনেমার জন্য আমি আমার জীবনের দীর্ঘ ৫টি বছর দিয়েছি। ফলে সেই কাজটিকে নিয়ে যদি অনুশোচনা করি তাহলে আমার পেশাকেই অপমান করা হবে।’
সাক্ষাৎকার প্রচারের কয়েকদিন পরেই হত্যাচেষ্টা অভিযোগ করা হয় অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে।
নদীবন্দর/জেএস