ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বাস্তুচ্যুতদের জন্য ব্যবহৃত একটি স্কুলে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। সোমবার (২৬ মে) ভোরে গাজা শহরের ফাহমি আল-জারজাউই স্কুলে এই হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ও বহু আহত হয়েছেন। স্কুলটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ফাহমি আল-জারজাউই স্কুলে বোমাবর্ষণ করে। হামলার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ছবিতে পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ দেখা গেছে, যদিও রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে এর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, উদ্ধারকারীরা স্কুলের আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও হামলায় স্কুলটি প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
মে মাসের শুরু থেকে গাজায় হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত সপ্তাহে বলেছেন, ইসরায়েল পুরো গাজা নিয়ন্ত্রণ করবে।
গাজার জনসংযোগ কার্যালয়ের রোববার (২৫ মে) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল বেসামরিক ও আবাসিক এলাকায় সরাসরি স্থল অভিযান এবং বাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমে গাজার ৭৭ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এর ফলে ফিলিস্তিনিরা গাজার একটি ক্ষুদ্র অংশে আবদ্ধ হয়ে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে দখলদারি বন্ধে ফিলিস্তিনিরা জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দিকে তাকিয়ে আছে।
এদিকে, স্পেনের নেতৃত্বে ২০টি দেশ মাদ্রিদে একত্রিত হয়ে যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানিয়েছে। স্পেন বলেছে, এই যুদ্ধের আর কোনো যৌক্তিকতা নেই এবং অবিলম্বে অবরোধ ভেঙে গাজায় খাদ্য প্রবেশের অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।
নদীবন্দর/এএস