মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিদেশ চলে যেতে সহযোগিতা করেছেন, উচ্চপদে পদায়ন করেছেন জিয়াউর রহমান। দেশের সংবিধান পরিবর্তন করে শাহ আজিজ, আব্দুল আলিমসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে নিজের মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন।
তিনি বলেন, খন্দকার মোশতাক, জিয়া তারা তো শাস্তি পাননি। মৃত্যু হলে কোনো আইনে আদালতে শাস্তির রায় ঘোষণা হয় না। কারও মৃত্যু হলে তিনি যদি আসামি থাকেন তবে আদালত তাকে বাদ দিয়ে অন্যদের ব্যাপারে রায় দেন।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাজীপুরের চন্দ্রা ত্রিমোড়ে কালামপুর রোডে কালিয়াকৈর পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্টজনদের নামে নামকরণ ফলক উন্মোচন করেন মন্ত্রী। সেখানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী যারা আদালতে তাদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন। তাদের চারজনের সনদ, সম্মাননা বাতিল হয়েছে এবং একই মিটিংয়ে খন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমানসহ আরও অনেকের নাম এসেছে বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত দালিলিক প্রমাণসহ। বঙ্গবন্ধু হত্যায় কার কী ভূমিকা ছিল, কী কী দালিলিক প্রমাণ আছে? সেগুলো পেশ করার জন্য আমরা একটি উপ-কমিটি করেছি আগামী মিটিংয়ে পেশ করার জন্য। দালিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের যে সম্মানসূচক পদবি রয়েছে সেগুলো বাতিল করা হবে। সেটার নজির শুধু বাংলাদেশে নয়, বহির্বিশ্বেও রয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক কারণে নয়।’
তিনি বলেন, পৃথিবীতে বহু নজির রয়েছে যে তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য সম্মানসূচক খেতাব বাতিল হয়েছে। জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোশতাক, মাহবুব আলম চাষীসহ এমন অনেকের নাম এসেছে। তাদের কী ভূমিকা? বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা কী? তার দালিলিক প্রমাণসহ পরবর্তী সভায় উপস্থাপিত হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। মঙ্গলবার শুধু আলোচনা হয়েছে, আমরা একটি উপ-কমিটি করে দিয়েছি। আগামী এক মাসের মধ্যে তারা রিপোর্ট দেবে।’
কালিয়াকৈর পৌরসভার আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. শাহাবুদ্দিন আহসান। উপস্থিত ছিলেন কালিয়াকৈর পৌর মেয়র মজিবুর রহমান, কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুরাদ কবির, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল, আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ সিকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর ওহাব প্রমুখ।
পরে মন্ত্রী ফিতা কেটে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে ৪২টি সড়কের নামফলক উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হকের নামেও একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে।
নদী বন্দর / পিকে