ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দাগনভূঞা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী ও নোয়াখালীর একরামুল করিম চৌধুরীর সন্ত্রাসীরা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন মির্জা কাদের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার বসুরহাট পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলর বৃন্দ্র চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে শপথ গ্রহণের জন্য গাড়ি বহর নিয়ে যাচ্ছিলেন। ফেনীর দাগনভূঞা বাজার এলাকা অতিক্রম করার সময়ে কিছু যুবক মির্জা কাদেরের গাড়ি বহরে ডিম ও ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বহরে থাকা নব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পরে সাড়ে ৯টার দিকে ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই মির্জা কাদের ফেসবুক পেইজে লাইভে এসে বলেন, ‘সকাল ১০টায় চট্টগ্রামে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ফেনীর দাগনভূঞাতে আমার গাড়ি বহরে হামলা করা হয়েছে। যারা ফেনীতে একরামকে হত্যা করেছে ঠিক একই কায়দায় আমাকে হত্যা করার জন্য একরাম চৌধুরী ও নিজাম হাজারীর সন্ত্রাসীরা আমার গাড়ি গতিরোধ করে। কিন্তু আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে একটা ট্রাক থাকায় আমি বেঁচে যাই’।
তিনি আরও বলেন, পেছনে থাকা বহরের ১০-১২টি গাড়ির ওপর হামলা করা হয়েছে। সেলিম নামের আওয়ামী লীগের এক নেতা আহত হয়েছেন।
মির্জা কাদের বলেন, ‘ফেনীতে এখন হত্যার রাজনীতি চলছে। আমি আগেও বলেছিলাম এ রাজনীতি বন্ধ করতে। এ দেশে কি সরকার নেই, প্রশসান নেই। এসবের কি বিচার হবে না? ফেনীর একরাম ও দাগনভূঞার নির্দেশদাতারা আজ প্রকাশ্যে চলাফেরা করে’।
এসব হামলাকারী ও নির্দেশদাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
নদী বন্দর / এমকে