ইরানের অপারেশ ট্রু প্রমিজ ৩-এর ধারবাহিকায় রোববার (২২ জুন) ২০তম হামলা হয়েছে ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে।

যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো, নাতানজ ও এসফাহানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালানোর দাবি করার কয়েক ঘণ্টা পর এই অভিযানটি চালানো হয়।

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর ((আইআরজিসি) জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, এই প্রতিশোধমূলক অপারেশনের এই ধাপে তৃতীয় প্রজন্মের ‘খাইবার শেকান’ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যবহার করা হয়েছে, যা সফলভাবে লক্ষ্যস্থলে আঘাত হানে।

রোববার সকালে ইসরায়েলি মিডিয়া জানিয়েছে যে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলি তেলআবিব ও হাইফাসহ বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হেনেছে।

ইরানের এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেলআবিব এবং হাইফার বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন ধরে যায় ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

তেলআবিবের সুনির্দিষ্ট পয়েন্টগুলোকে ক্দ্রে করে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ইরানের সশস্ত্র বাহিনী আগে থেকেই সতর্ক করেছিল যে, ইসরায়েলের অধিকৃত অঞ্চলগুলিতে কোনও নিরাপদ স্থান থাকবে না।

ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নতুন দফা শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় সাইরেন বাজানো হয়েছে।

ইসরায়েলি মিডিয়া জানিয়েছে,আজ কমপক্ষে ৪০টি ভারী ক্ষেপণাস্ত্র তেলআবিবসহ বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত করেছে। কোনো কোনো সূত্র সেখানে ড্রোন হামলারও খবরও দিয়েছে।

ইহুদিবাদী গণমাধ্যমের তথ্য মতে, ইরানের রোববারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেলআবিব শহরসহ কয়েকটি স্থানে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি হতাহত হয়েছে। যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এদিকে, ইসরায়েলি রেডিও স্বীকার করেছে যে, ইসরায়েলে- ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নতুন ধারা তেলআবিব এবং হাইফায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছে।

ইহুদিবাদী ইসরায়েল, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সঙ্গে সম্পর্কিত ছবি প্রকাশের ওপর কঠোর সেন্সরশিপ আরোপ করেছে।

নদীবন্দর/এএস