নাটোরের বড়াইগ্রামে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মিনহাজ হোসেন আবির হত্যার ঘটনায় তার সহপাঠী হজরত আলী মোল্লা (১২) নামে এক শিশুকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে তার নিজ বাড়ি থেকে ওই শিশুকে আটক করা হয়।
আটক শিক্ষার্থী হজরত আলী মোল্লা উপজেলার মহিষভাঙ্গা গ্রামের রিয়াজুল ইসলামের ছেলে।
নিহত শিশু মিনহাজ হোসেন আবির উপজেলার একই এলাকার মিলন হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় আবিদ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেল ৪টার দিকে আবির মায়ের একটি স্মার্ট মোবাইল ফোনসহ নিজের সাইকেল নিয়ে বাসা থেকে বের হয়। সন্ধ্যার পরেও বাসায় না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। রাতেই শিশু আবিরের সন্ধান চেয়ে বনপাড়া বাজারসহ আশপাশের এলাকায় মাইকিং করা হয়। এরপর রাত ১০টার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের মহিষভাঙ্গা পাটোয়ারী তেল পাম্পের কাছে তার বাইসাইকেলটি রক্তমাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে মহাসড়কের পাশে নির্মাণাধীন মসলা ফ্যাক্টরির মধ্যে ভুট্টার গাছের নিচ থেকে রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে সহপাঠী হজরত আলীকে আটক করলে তার কাছ থেকে ওই মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।
বড়াইগ্রাম থানার কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পরে আলমত ও স্থানীয়দের বর্ণনায় হজরত আলীকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দু’জনের মধ্যে মারামারি থেকেই ওই নির্মম ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। আটক হজরত আলীও শিশু তাই সতর্কতার সাথে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
নদীবন্দর/জেএস