কুমিল্লার মুরাদনগরে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসা এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মূলহোতা ফজর আলীসহ মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে প্রধান আসামি ফজর আলীকে রোববার (২৯ জুন) ভোরে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া, ধর্ষণের ভিডিও ধারণ ও বিবস্ত্র ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শনিবার (২৮ জুন) রাতব্যাপী অভিযান চালিয়ে।
প্রধান আসামি ফজর আলীকে বর্তমানে কুমিল্লার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকি চারজনকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
রোববার (২৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) রাশেদুল হক চৌধুরী।
এএসপি রাশেদুল বলেন, স্থানীয়দের হাতে আটকের পর বেদম মারধরের শিকারের হন মূল অভিযুক্ত ফজর আলী। এ সময় তিনি গুরুতর আহত হন। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যান ফজর। আহতাবস্থায়ই আত্মগোপনে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু রোববার ভোরে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
গ্রেপ্তারের সময়ও ফজর আলী বেশ আহত ছিলেন উল্লেখ করে এএসপি বলেন, তাকে কুমিল্লায় এনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে। তবে, ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে জড়িত গ্রেপ্তার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে হোমনা থেকে মুরাদনগরে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসা এক নারীকে পাঁচকিত্তা গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে ফজর আলী কৌশলে ঘরের দরজা খুলে ধর্ষণ করেন। ঘটনার সময় আশপাশের কয়েকজন লোকজন ঘটনাস্থলে এসে ভুক্তভোগী নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখে ভিডিও ধারণ করে এবং পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। তার স্বামী দুবাই প্রবাসী। তিনি দুই সন্তানের মা।
নদীবন্দর/জেএস