আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেছেন, এবার বিশেষ কোনো নির্দেশনা ছিল না; তাই শিক্ষার্থীরা যা লিখেছে সে অনুসারে নম্বর পেয়েছে। আর শিক্ষার্থীদের খাতার প্রাপ্ত নম্বরই যথাযথভাবে আমরা কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রকাশ করেছি। কোনো নির্দিষ্ট নম্বর পাওয়ার পর বিশেষ নম্বর দিয়ে ভালো গ্রেড করে দেওয়া হয়নি। ফলাফল তৈরিতে কোনো উদারনীতিও অবলম্বন করা হয়নি।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টায় এসএসসি ফলাফল প্রকাশ পরবর্তী সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
পাশের হার ও জিপিএ ৫ কমার বিষয়ে অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, আমরা কোনো লক্ষ্য নিয়ে ফলাফল তৈরি করিনি। পরীক্ষা সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। প্রশ্ন আউট হওয়াসহ সব বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক ছিলাম। সব মিলিয়ে খুব ভালোভাবে খাতা মূল্যায়ন করে আমরা ফলাফল তৈরি করেছি।
বরিশাল বোর্ডে পাশের হাম কমার বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, বরিশাল অঞ্চলে খাল-বিলসহ প্রান্তিক এলাকা বেশি। তাই ওইসব অঞ্চলের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা একটু কঠিন হয়। এছাড়া আমরা ঢাকা মহানগরীর বাইরে যত উপজেলা পর্যায়ে যাব; তত পাশের হার কমতে থাকে। কারণ ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান তারা ফলাফল ভালো করার চেষ্টা সবসময় করে। তাই শহরের তুলনায় গ্রামের দিকের ফলাফলে একটু তারতম্য ঘটে।
নদীবন্দর/জেএস