জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি তুলে আসছে কিছুদিন ধরে। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়ে দিলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগের পদ্ধতিতেই হবে।’
তার ভাষায়, ‘সংবিধান পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত আগে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেই পদ্ধতিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ তিনি আরও জানান, ‘নির্বাচনের দুই মাস আগে তফশিল হবে। তখন নির্বাচন কবে, মনোনয়ন পত্রসহ সব তথ্য জানা যাবে।’
শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার সভা কক্ষে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে খুলনা অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি।
তিনি বলেন, ‘বহুবিধ ও নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, সোশ্যাল মিডিয়ার ভুল তথ্য ও অপতথ্য ছড়ানো ও এআই-এর অপব্যবহার আগামী নির্বাচনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখছে নির্বাচন কমিশন। এটাকে মডার্ন যুগের মডার্ন থ্রেট (হুমকি) মনে করা হচ্ছে।’
নির্বাচন নিয়ে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা ও ভোটকেন্দ্রে মানুষকে আনাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন সিইসি। এজন্য তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
সিইসি বলেন, ‘সবার সহযোগিতায় আমরা জাতিকে একটি ভালো নির্বাচন উপহার দিতে চাই, এটা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।’
কবে নাগাদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হলে আপনারা জানতে পারবেন কবে নির্বাচন হবে। তার আগে বলা সম্ভব নয়।’
এদিন প্রধান অতিথি হিসেবে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা।
নদীবন্দর/জেএস