ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাবেক সম্পাদক নঈম নিজামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। গ্রেফতারি পরেয়ানাভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন— বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী ও বাংলা ইনসাইডার পত্রিকার প্রধান সম্পাদক সৈয়দ বোরহান কবীর।
আজ রোববার (২৭ জুলাই) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলমের আদালতে আসামিদের হাজির হওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় বাদীপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করে। আদালত বাদীপক্ষের আবেদন গ্রহণ করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৮ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন বাদী হয়ে নঈম নিজামসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টকে (সিআইডি) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।
গত বছরের ২০ নভেম্বর নঈম নিজাম, ময়নাল হোসেন চৌধুরী ও সৈয়দ বোরহান কবীরকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন সিআইডির এসআই তরিকুল ইসলাম। গত ২ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন আমলে নিয়ে তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন আদালত।
মামলার অভিযোগে থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ‘নুসরাতকে দিয়ে বিচ্ছু সামশু সিন্ডিকেটের ফের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত করা হয়। তা অনলাইনেও দেওয়া হয়।
সেখানে বলা হয়, ‘নুসরাতের আইনজীবী হলেন ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে ব্যারিস্টার এম সারোয়ারের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তিনি রাষ্ট্রবিরোধী গুজব ও অপপ্রচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে। মুনিয়া ইস্যু নিয়ে তারা এর আগেও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিলেন।’
এছাড়া আসামিরা ব্যারিস্টার সরোয়ারকে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার হোতা হিসেবে উল্লেখ করে সেসব তথ্য ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, সরোয়ার নুসরাতের আইনজীবী নন। নুসরাতের মামলার নারাজি আবেদনের শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন। ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ইনসাইডার পত্রিকায় ‘কে এই সারোয়ার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের কথাও মামলায় উল্লেখ করা হয়।
নদীবন্দর/জেএস