পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম গতকাল শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে পায়রা বন্দর পরিদর্শন করেছেন। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ মন্ত্রণালেয়ের সচিব, মহাপরিচালক এবং পরিচালকদের সঙ্গে নিয়ে পায়রা বন্দর ঘুরে দেখেন ড. মোমেন। আজ রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিদর্শনে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বন্দর এলাকায় একটি বৃক্ষ রোপণ করেন। সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমসহ দেশের সম্ভাবনাকে সারা বিশ্বে তুলে ধরার সুবিধার্থে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ ধারণা অর্জনের জন্য পায়রা বন্দর পরিদর্শনের আয়োজন করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ বন্দরের কার্যক্ষমতা ও সার্ভিস সম্পর্কে বর্হিবিশ্বে তুলে ধরতে সক্ষম হবেন বলে এসময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. মোমেন। বিশ্বের উন্নত বন্দরের ন্যায় পায়রাবন্দরকে দ্রত মালামাল উঠানো-নামানোসহ উন্নত সেবা প্রদানের মাধ্যম বিশ্বে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাবেন বলে প্রত্যাশা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বন্দরের সার্বিক কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। এছাড়া এ বিষয়ে একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এ সময় জানানো হয়, বর্তমানে ৪৫ কিলোমিটার চ্যানেলে বছরে প্রায় ২০০ জাহাজ চলাচল করছে। তবে নির্মাণকাজ শেষ হলে প্রতিদিন ৫০টি জাহাজ চলাচল করতে পারবে। একটি পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনসহ বন্দর ভবনের কিছু অংশের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।
পায়রা বন্দরটি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া রামনাবাদ চ্যানেলে স্থাপিত হচ্ছে। এটি ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা উদ্বোধন করেন। এ বন্দর স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের চাপ কমানো এবং এ এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন।
নদী বন্দর / জিকে