সুন্দরবনের বাঘ,হরিণ হত্যা করবোনা এবং সুন্দরবনরে কোন ক্ষতি করবোনা এবং কাউকে এমন কাজ করতে দেবনা। যদি কেউ করে তাকে আটক করে প্রশাসনের হাতে তুরে দেব বলে শপথ নিয়ছেনে সুন্দরবন প্রেমিকরা। বনের উপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠি বনজীবি-মৎস্যজীবি-জেলে-বাওয়ালী ও মৌয়ালীদের এই শপথ বাক্য পাঠ করান এবং সুন্দরবন দিবসের কর্মসুচির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার কমলেশ মজুমদার। পরে একটি র্যালী রের হয়। ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসুন,সুন্দরবন বাঁচলে বাংলাদশে বাঁচবে শ্লোগানে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন এই কর্মসুচী পালন করে।
সুন্দরবন দিবসে অন্যান্য কর্মসুচির মধ্যে ছিলো বিপদাপন্ন সুন্দরবন রক্ষায় র্যালী, মানববন্ধন, শিশু চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সকাল ১১টায় বিপদাপন্ন সুন্দরবন রক্ষায় সুন্দরবন প্রেমীরা মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন চলাকালে অংশগ্রহণকারীরা ”সুন্দরবন বাঁচাও, উপকুল বাঁচাও, দেশ বাচাও”, ”সুন্দরবন বাঁচলে, বাঘ বাঁচবে”, ”সুন্দরবনে পরিকল্পিত অগ্নিকান্ড বন্ধ কর” ”সুন্দরবনের খালে বিষ দিয়ে মাছ নিধন বন্ধ কর”, ”বাঘ-হরিণসহ বন্যপ্রানী হত্যা বন্ধ কর”, ”সুন্দরবনে শিল্প দূষণ, প্লাস্টিক দূষণ, জাহাজী বর্জ্য দূষণ বন্ধ কর” ইত্যাদি শ্লোগান সম্বলিত প্লাকার্ড-ফেস্টুন বহন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাপা নেতা মোঃ নূর আলম শেখ, বাদাবন সংঘের নির্বাহি পরিচালক লিপি রহমান, জেলে সমিতির সভাপতি বিদ্যুৎ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ হাওলাদার, ডলফিন সংরক্ষণ দলনেতা ইস্রাফিল বয়াতি, ওয়াইল্ড টিমের মোঃ সাইফুল হোসেন, ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমের আব্দুল মালেক হাওলাদার, মৌয়াল ষ্টিফেন হালদার, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার মারুফ বিল্লাহ, নারীনেত্রী গীতা হালদার, কমলা সরকার প্রমূখ।
বিকেল ৪টায় মোংলার পৌর কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার চত্বরে ”সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতি” বিষয়ক শিশু চিত্রাংকণ প্রতিযোগিতা এবং ”বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন” শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান হয়। বিকেল ৫টায় শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় ”সুন্দরবন, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু” শীর্ষক আলোচনা সভা।
নদী বন্দর / জিকে