পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
রোববার (১১ আগস্ট) ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষী হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন আদালতে বক্তব্য উপস্থাপন করছেন।
এর আগে, গত ৩১ জুলাই আদালত শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা এবং তাদের পরিবারের সদস্যসহ মোট ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। অভিযোগ অনুযায়ী, পূর্বাচল প্রকল্পে ১০ কাঠা করে ছয়টি প্লট বরাদ্দে সরকারি নিয়ম ভেঙে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করছে দুদক।
আদালত তিনটি মামলায় শেখ হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে আজকের দিন সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন।
এছাড়া শেখ রেহানা, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক এবং আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীর বিরুদ্ধে দায়ের করা পৃথক তিনটি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৩ আগস্ট।
প্লট বরাদ্দের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু হয় ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে। এরপর অনুসন্ধানে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ার দাবি করে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা দায়ের করে দুদক। পরে ধাপে ধাপে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, জয়সহ আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধেও মামলা করে সংস্থাটি।
দুদক সূত্র বলছে, মামলাগুলোয় মূলত অভিযোগ রয়েছে, প্রভাব খাটিয়ে, সরকারি বিধি উপেক্ষা করে এবং কোনো পূর্বঘোষিত আবেদন প্রক্রিয়া ছাড়াই পূর্বাচল প্রকল্পে একাধিক প্লট বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে। এসব প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে ন্যূনতম নিয়মনীতি অনুসরণ করা হয়নি। বরং ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রের সম্পদের ক্ষতি করা হয়েছে।
বিচারিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এখন সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলো। মামলাগুলো জাতীয় ও রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত স্পর্শকাতর হওয়ায় বিচারক, প্রসিকিউশন এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করছে।