মাদারীপুরে ইজিবাইক চালক সুলতান বেপারী হত্যা মামলায় দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এই আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জনি বেপারী (২২) ও শরিফুল বেপারী (২০)। তারা রাজৈর উপজেলার সুতারকান্দি গ্রামের কুদ্দুস বেপারীর ছেলে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৮ সালের ২৯ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটকচর থেকে গাছবাড়িয়া এলাকার সুলতান বেপারীর ইজিবাইকে যাত্রী পরিচয়ে ওঠেন ৪ জন। পরে সদর উপজেলার ত্রিভাগদী এলাকায় নিয়ে সুলতানকে কুপিয়ে হত্যার করে মরদেহ ফেলে রাখে তারা। ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যাবার সময় স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ৪ জনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। একই সাথে আটক ৪ জনকে সদর মডেল থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী হাফিজা বেগম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ৪ আসামির নাম উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন থানার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিল্টু দাস। যুক্তিতর্কের প্রক্রিয়া শেষে ও ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক দুজনের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। একই সাথে দণ্ডপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অপর দুই আসামির বিচার কার্যক্রম শিশু আদালতে চলমান রয়েছে।
এদিকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। অপরদিকে দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজন ও পরিবার। নিহতের স্ত্রী হাফিজা বেগম বলেন, একটি ইজিবাইকের জন্য আমাকে যারা বিধবা করেছে, তাদের মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়ায় খুশি। এই রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাই।
মাদারীপুর জেলা ও দায়র জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, ৪ আসামির দুজনের ফাঁসি হয়েছে। বাকি দুই আসামির বয়স কম হওয়ায় তাদের বিচার চলমান রয়েছে। শিগগিরই তাদেরও বিচার হবে।
নদী বন্দর / পিকে