রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে শীর্ষ মাদক কারবারি বুনিয়া সোহেলের আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। এসময় বিপুল মাদক, ককটেল বোমা ও কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) গভীর রাতে জেনেভা ক্যাম্পের ৭ নম্বর সেক্টরে এ অভিযান চালানো হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা যায়, শীর্ষ মাদক কারবারি বুনিয়া সোহেল এর আস্তানায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ দুই দফায় যৌথ অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার বেশি উদ্ধার করেছে। শীর্ষ এ মাদক কারবারির মাদকের হট স্পট খ্যাত ৭ নম্বর সেক্টর থেকে দ্বিতীয় দফায় নগদ ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা, ককটেল বোমা ও বিপুল মাদকসহ বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী।
যৌথবাহিনীর অভিযানে ১৩টি তাজা ককটেল বোমা, ২৫টি আধা প্রস্তুত ককটেল, ৪০০ গ্রাম গানপাউডার, ২টি সামুরাই তলোয়ার, ১২টি হকিস্টিক, ২৯টি হেলমেট, ২টি ড্রাগন লাইট, ১১ কেজি গাঁজা, ১২ প্যাকেট হেরোইন, নগদ ১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা এবং একটি টাকা গণনার মেশিন উদ্ধার করা হয়।
অভিযানের বিষয়ে সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একজন কর্মকর্তা জানান, পূর্বের গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, বুনিয়া সোহেল ওই রাতে জেনেভা ক্যাম্পে আসবে। গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে যৌথবাহিনী অভিযান চালায়। তবে বাহিনী পৌঁছানো মাত্র বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আসামিরা অন্ধকারে পালিয়ে যায়। সংকীর্ণ গলি ও লাগোয়া ভবনের কারণে সোহেলকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তল্লাশিতে বিপুল নগদ টাকা, মাদক ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার হয।
বুনিয়া সোহেলের বিরুদ্ধে হত্যা, বিস্ফোরক ও মাদকসহ মোট ৩৮টি মামলা রয়েছে। এ বছরের শুরুতে গ্রেফতার হলেও ছয় মাস কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পায় সে। মুক্তির পর পুনরায় অপরাধমূলক কার্যক্রম শুরু করে। দুই দিন আগে জেনেভা ক্যাম্পে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সোহেলের ১৩ সহযোগীকে গ্রেফতার করা হলেও সোহেল পালিয়ে যায়।
বুনিয়া সোহেল ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে যৌথবাহিনী।
নদীবন্দর/ইপিটি