রাজধানীর শাহবাগে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর পৌনে ২টার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র দিকে অগ্রসর হতে চাইলে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।
এতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা পিছু হটলেও তাৎক্ষণিকভাবে নতুন করে আবার অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করে। এর আগে, সকাল থেকেই রাজধানীর শাহবাগ মোড় দখলে রেখে অবস্থান নেন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ডিপ্লোমা ও বিএসসি প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা ‘লং মার্চ’ শুরু করে যমুনার দিকে। তখনই পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সূত্রপাত ঘটে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নামের আগে ‘প্রকৌশলী’ শব্দ ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়া; ডিপ্লোমাধারীদের পদোন্নতির মাধ্যমে নবম গ্রেডে উন্নীত না করা; দশম গ্রেডের সরকারি চাকরিতে কেবলমাত্র স্নাতক (বিএসসি) প্রকৌশলীদের নিয়োগ নিশ্চিত করা।
এই দাবিগুলো নিয়ে তারা গত কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে। মঙ্গলবারও তারা শাহবাগে অবস্থান নেয় এবং আজ দ্বিতীয় দিনের মতো রাস্তায় নামে।
মিছিলে শিক্ষার্থীদের স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে শাহবাগ এলাকা। তারা স্লোগান দেন— ‘আপস নয়, সংগ্রাম চাই’, ‘কোটা নয়, মেধার মূল্যায়ন চাই’, ‘ডিপ্লোমা কোটা বাতিল করো’, ‘নবম গ্রেডে অবৈধ পদোন্নতি চাই না’, ‘প্রকৌশলীর সংজ্ঞা রক্ষা করো’।
এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মৎস্য ভবন ও এর আশপাশের এলাকায়। সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকে জানান, পুলিশ শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়ার সময় হঠাৎ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আহত হয়েছেন কিনা বা কাউকে আটক করা হয়েছে কি না—তা নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের দাবিনামা নিয়ে সামনে এগোচ্ছিলেন। পুলিশ অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বাধা দিয়ে সহিংসতা শুরু করে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
নদীবন্দর/এএস