আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা রকম ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে দাবি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, আইনের শাসন এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপি কখনো পিছপা হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।
তারেক রহমান বলেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্র ঝুঁকিমুক্ত নয়। অশুভ অদৃশ্য শক্তির তৎপরতা দৃশ্যমান হচ্ছে; কোনো কোনো দলের নানা শর্ত আরোপ পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেলে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন।
তারেক রহমান বলেন, ‘পুঁথিগত সংস্কারের চেয়ে কার্যকর গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা বেশি জরুরি। রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে সংস্কারে বিএনপি সম্পূর্ণ একমত। সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। তবে জনগণের অধিকার চর্চা ও প্রয়োগের পথে বাধা সৃষ্টি করে কোনও সংস্কার টেকসই করা যাবে না।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘পরাজিত পলাতক স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের অভিপ্রায়ের সরকার। তবে এই সরকারের কাছে অবশ্যই একটি দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক রাজনৈতিক সরকারের মতো পারফরম্যান্স আশা করার যৌক্তিক কারণ নেই। এই জন্য এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, তাদের দুর্বলতা তত বেশি দৃশ্যমান হবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিএনপি মনে করে রাজনীতি মানে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি নয়। বরং জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। সে লক্ষ্যে বিএনপি বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কীভাবে এগুলো কাজ করবে তা পেপারওয়ার্কের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।’
নদীবন্দর/জেএস