নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, এখন থেকে যাদের বয়স ১৬ বছর পূর্ণ হবে, তারাই জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) জন্য নিবন্ধনের আবেদন করতে পারবেন।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান আখতার আহমেদ।
ইসির এই কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন কাজে এনআইডি কাজে লাগে, সেটি বিবেচনায় নিয়ে ১৬ বছর বয়সীদের এনআইডি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বছরের যেকোনো সময় ১৬ বছর পূর্ণ হলেই এনআইডির জন্য নিবন্ধনের আবেদন করা যাবে। তবে ১৮ না হলে ভোট দিতে পারবেন না তারা।
এ ছাড়া এখন থেকে এনআইডি হারিয়ে গেলে তা পুনরায় তুলতে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার প্রয়োজন নেই বলেও জানান সচিব।
আখতার আহমেদ বলেন, প্রবাসী ও ভোটের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের ভোটারধিকার নিশ্চিতে একটি অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। আসন্ন নির্বাচনে প্রবাসীরা ভোট দেবেন বলেও তিনি জানান।
ইসির সিনিয়র সচিব বলেন, প্রবাসীরা এবার বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে ভোট দিবেন; এইটুকু আমরা বলতে পারি ইনশাআল্লাহ। আমাদের সে জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা আছে। তবে কতদিন আগে তারা রেজিস্ট্রেশন করবেন, কতদিন পর্যন্ত তারা ভোটিং এর ব্যবস্থাটা করবেন এটার যে টেকনিক্যালিটিজ আছে, এটা আমরা যথাসময় আপনাদেরকে আপডেট করে দিব, যাতে আপনাদের মাধ্যমে প্রবাসীরাও জানতে পারেন।
অনলাইনে ভোটের প্লাটফর্ম তৈরির বিষয়ে আখতার আহমেদ বলেন, আউট অব কান্ট্রি ভোটিংয়ের ব্যাপারে আপনারা জানেন যে আমরা দুটা প্লাটফর্ম করছি একটা হচ্ছে যে প্রবাসে বাংলাদেশি যারা আছেন এনআইডিধারী তারা নিবন্ধন করবেন। আরেকটা হচ্ছে দেশের অভ্যন্তরে যারা আছেন যারা নির্বাচন কাজের সংশ্লিষ্টতার সঙ্গে জড়িত বা আইনি হেফাজতে আছেন এই ক্যাটাগরির জন্য। ইনকান্ট্রি পোস্টাল ব্যালট সিস্টেমটা আমরা ইন্ট্রোডিউস করব। এর অ্যাপটা তৈরি করা হচ্ছে বা এর প্ল্যাটফর্মটা তৈরি করা হচ্ছে। প্ল্যাটফর্মটা তৈরি করার সাথে সাথে এটা আমরা আবারো আপনাদেরকে নিয়মিতভাবে ব্রিফিং করব।
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রসঙ্গে ইসির সিনিয়র এই সচিব বলেন, রাজনৈতিক দলের যে নিবন্ধন… যে ২২টা রাজনৈতিক দলের মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য আমরা সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যে সমস্ত কাগজপত্র পাঠিয়েছিলাম সেগুলো নিয়ে এসেছে। আমরা এখানে একটা ব্রডশিটে বিষয়টাকে সন্নিবেশ করে আগামীকালকের ভিতরে কমপ্লিট করে আমরা কমিশনে দিব এবং তারপরে কমিশন সিদ্ধান্ত নিবেন।
দলীয় প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে সচিব বলেন, প্রতীক সংক্রান্ত একটা বিধিমালা সংশোধনের প্রস্তাব এখনো আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ উইংয়ে অপেক্ষমান আছে। এবং আমরা আশা করছি যে এটা তাড়াতাড়ি আসবে। কারণ আমাদের রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের সঙ্গে প্রতীকের একটা সম্পর্ক আছে।
সকালে ইসির সামনে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে মানববন্ধন হয়েছে। এক্ষেত্রে সীমানা পুণঃনির্ধারণের সুযোগ আছে কি না— জানতে চাইলে সচিব বলেন, সীমানা পুনঃনির্ধারণের বিষয় যেটা হচ্ছে.. আপনারা যদি সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত আইনটা দেখেন সাত ধারার ছয় এবং সাতে বলা আছে যে, আমাদেরকে চূড়ান্ত করতে হবে। সাত ধারায় বলা আছে এটার পরে এ ব্যাপারে সংশোধন করতে গেলে আইনগতভাবে আদালতেও যাওয়ার সুবিধা সীমিত।
নদীবন্দর/ইপিটি