বর্তমানে ব্যাপক সন্ত্রাস, উদাহরণহীন অনিয়ম ও ভোট ডাকাতির যে নির্বাচন হচ্ছে, তা নিয়ে এক মহাকাব্য রচনা করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, দেশব্যাপী চতুর্থ দফায় ৫৫টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগের ধাপের নির্বাচনগুলোর মতোই গতকালের নির্বাচনও ছিল আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দখলে। সব ভোটকেন্দ্রেই তাদের দৌরাত্ম্য ছিল আগের মতোই ব্যাপক নজীরবিহীন ও ভোটকেন্দ্রগুলো ছিল সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য। বর্তমানে ব্যাপক সন্ত্রাস, উদাহরণহীন অনিয়ম ও ভোট ডাকাতির যে নির্বাচন হচ্ছে, তা নিয়ে এক মহাকাব্য রচনা করা সম্ভব। অনাচারের ভোট নিয়ে দেশ-বিদেশে সমালোচনার যে ঝড় উঠেছে সেটিকে পাত্তাই দেয় না নির্বাচন কমিশন। সরকার নিজস্ব অবয়বে গড়ে তুলেছে নির্বাচন কমিশন। সুতরাং মাফিয়া চরিত্রের গভীর প্রভাব দেখা যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কতিপয় নির্বাচন কমিশনারের আচরণে। সহিংস ভোট ডাকাতি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের দ্বারা অনুপ্রাণিত।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার এতটাই আওয়ামীবান্ধব যে, তিনি ঝড়-জলোচ্ছাস-বন্যা-করোনা কোনো কিছুই গ্রাহ্য করেননি। করোনার সময় যশোর কেশবপুর পৌরসভার দুটি ওয়ার্ডকে ‘রেড জোন’ ঘোষণার পরেও সেখানেও নির্বাচন করা হয়েছে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের অনুকূলে একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে কে এম নুরুল হুদা অস্থির হয়ে পড়েন। কারণ শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্য তিনি আত্মনিবেদিত।
রিজভী বলেন, সুতরাং গণতন্ত্র, নির্বাচন, সুষ্ঠু ভোট এসব কে এম নুরুল হুদা সাহেব থোড়াই কেয়ার করেন। একতরফা নির্বাচন করার পরেও রক্তাক্ত সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনার কলেবর বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুদিন আগেও মাদারীপুরের কালকিনিতে একজনকে পিটিয়ে হত্যা এবং চট্টগ্রামের পটিয়ায় আরেকজনকে হত্যা ও চারজনকে আহত করার ঘটনা এটি আওয়ামী সহিংস নির্বাচনের ধারাবাহিকতার আরেকটি দৃষ্টান্ত।
নদী বন্দর / পিকে