ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদ্য নির্বাচিত পাঁচজন প্রতিনিধি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী এই ফোরামে কারা প্রতিনিধি হবেন, সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ডাকসুর কার্যনির্বাহী পরিষদের এক বিশেষ বৈঠকে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপাচার্যের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে ডাকসুর নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ সাংবাদিকদের জানান, সিনেট সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে নির্বাচিতদের ভোটের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ডাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে যারা জয়ী হয়েছেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন সাবিকুন্নাহার তামান্না। তাই তাকেই সিনেট সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতে পরিবহন সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহকেও সিনেটে যুক্ত করা হয়েছে।’
ডাকসুর বাকি তিন সিনেট সদস্য কারা হবেন, সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে, তবে তাদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি।
এছাড়া ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ পদে কে দায়িত্ব নেবেন, সে বিষয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন এস এম ফরহাদ। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্যই আমরা দায়িত্বে এসেছি। যারাই নির্বাচিত হয়েছেন, মতভেদ থাকলেও সবাইকে নিয়েই কাজ করবো। দ্রুতই এক বছরের একটি নির্বাহী পরিকল্পনা প্রণয়ন করবো, যাতে আমাদের কাজের অগ্রাধিকার ও লক্ষ্য স্পষ্ট হয়।’
এর আগে, গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন। ডাকসুর ২৮টি পদের জন্য লড়েন ৪৭১ জন প্রার্থী। অন্যদিকে, ১৮টি হল সংসদের ২৩৪টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোট ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী।
এবারের নির্বাচনে ছাত্রশিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। ভিপি, জিএস, এজিএসসহ তারা ডাকসুর মোট ২৩টি গুরুত্বপূর্ণ পদে জয়ী হয়।
তবে তিনটি সম্পাদকীয় পদে জয় পান স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ। গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক হন জুলাই আন্দোলনের প্রার্থী সানজিদা আহমেদ তন্বি। সমাজসেবা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মো. যুবাইর বিন নেছারী (এবি জুবায়ের)।
সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন হেমা চাকমা ও উম্মু উসউয়াতুন রাফিয়া।
নদীবন্দর/এএস