অবরোধকারীরা ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে একটি মিছিল হাইওয়ে থানার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় থানায় ঢুকে এ ভাঙচুর চালায় বলে জানিয়েছে হাইওয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকিবুজ্জামান।
ওসি বলেন, আমরা কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আন্দোলনরত অবরোধকারীরা হাইওয়ে থানায় ঢুকে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। থানা কমপ্লেক্স ভবনের জানালার গ্লাস থেকে শুরু করে তিনটি পিকআপ একটি অ্যাম্বুলেন্স একটি রেকার ও জেলা সদর থেকে আসা একটি জল কামান ভাঙচুর করে তারা। এ সময় অ্যাডিশনাল ডিআইজি স্যারের ব্যবহৃত পাজেরো গাড়িটিকেও তারা ভেঙে ফেলে। এছাড়া প্রতিটি রুমে ঢুকে আমাদের খাবার প্লেটসহ আসবাবপত্র সবকিছু ভাঙচুর করে। হাজারখানেকের উপরে স্থানীয় জনতা এ হামলায় অংশ নেয়। তারা আমাদের আইটি সামগ্রী কম্পিউটার অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
প্রচণ্ড মন খারাপ নিয়ে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় কর্মরত সার্জেন্ট রাসেল বলেন, থানা কমপ্লেক্সে অফিসিয়াল মিলিয়ে ১৭ থেকে ১৮টি মোটরসাইকেল ছিল। এর মধ্যে একটি মোটরসাইকেল আমার নিজের। ছাত্রজীবনে টিউশনি টাকা দিয়ে মোটরসাইকেলটি কিনেছিলাম। সেটি আজ চোখের সামনে অবরোধকারীরা ভেঙে ফেলল। দেশের সম্পদ নষ্ট করে কী লাভ?
উল্লেখ্য, ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে কেটে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করার প্রতিবাদে বেশ কয়েকদিন ধরেই মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন করছে দুই ইউনিয়নের জনগণ।
নদীবন্দর/জেএস