বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে আমন ক্ষেতসহ নানা ফসলি জমি, ফলে ক্ষতির আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়—দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নাগেশ্বরী উপজেলার পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে তিস্তার পানি কিছুটা হ্রাস পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে উজানে ভারী বৃষ্টির কারণে আগামী দুই দিনে নদ-নদীর পানি আরও বাড়তে পারে।
রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চলের কৃষক তাজ উদ্দিন (৬০), সফর উদ্দিন (৫০), আউয়াল মণ্ডলসহ অনেকে জানান, হঠাৎ পানি বাড়ায় তাদের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।
তাজ উদ্দিন বলেন, তিস্তার পানি কখন বাড়ে, কখন কমে—কিছুই বোঝা যায় না। হঠাৎ বাড়ায় আমার প্রায় দুই একর জমির আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, পানি আরও বৃদ্ধি পেলে ধানসহ অন্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। আর দ্রুত পানি নামলেও ফসল নষ্ট হয়ে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়বেন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, আগামী দুই দিনে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল হারে বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল আরও প্লাবিত হতে পারে।
নদীবন্দর/জেএস