প্রায় দুই দশক ধরে নিষ্ক্রিয় থাকার পর বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন (জেইসি) পুনরায় সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আগামী ২৬ ও ২৭ অক্টোবর ঢাকায় দুই দিনব্যাপী জেইসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন সে দেশের অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব।
বৈঠকে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং যোগাযোগব্যবস্থা শক্তিশালীকরণসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানিয়েছে, জেইসির আওতায় বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইআরডি ইতিমধ্যে পররাষ্ট্র, শিল্প, বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর কাছে আলোচ্যসূচি প্রস্তাবের জন্য চিঠি পাঠিয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে পাটজাত পণ্য, চা, ওষুধ, বস্ত্র ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী রপ্তানি বাড়াতে পাকিস্তানের বাজারে আরও সুবিধা চাওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে শেষ জেইসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৫ সালে। ওই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ২০০ মিলিয়ন ডলার থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে ১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে পরবর্তী সময়ে দুই দেশের সম্পর্কের শীতলতা এই সহযোগিতা কাঠামোকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়।
গত বছর বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পর পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করতে আগ্রহ প্রকাশ করে। পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান গত আগস্ট মাসে বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে জেইসি পুনরায় চালু করার প্রস্তাব দেন। আসন্ন বৈঠকটি দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় সূচনা করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
নদীবন্দর/জেএস