বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, ‘বানের স্রোতের মতো নেতা-কর্মীরা আসছে। এই বানের স্রোতে একেক করে ভেসে যাবে মাফিয়া সরকারের সমস্ত আসর।’
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এই সমাবেশ করা হয়।
আলাল বলেন, ‘অল্প কয়েকজন মানুষকে আটকে রেখে কিছু করতে পারবেন না। বানের স্রোতের মতো নেতা-কর্মীরা আসছে। এই বানের স্রোতের মধ্যে ভেসে যাবে মাফিয়া সরকারের সমস্ত আসর এক এক করে। সেই দিন পর্যন্ত ক্লান্তহীনভাবে আমরা আন্দোলনের মধ্যে থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাল সারারাত ঘুমাতে পারিনি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবো। আমি সারাক্ষণ হাত দিয়ে মুখ ঢেকে রাখি। কখন দাঁতটা ভেঙে ফেলে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে দাঁত কোন জায়গায় ভাঙবেন? গতকাল ফেনীর, নোয়াখালীর আপনার নেতারা বলেছেন, আপনার ভাই কাদের মির্জা নাকি বিএনপির এজেন্ট। এখন ভাঙ্গেন দাঁত। পারলে ওখানে গিয়ে দাঁত ভাঙ্গেন।’
আলাল বলেন, ‘এর আগে দেখলাম হাজী সেলিমের পোয়া নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মেরে দাঁত ভেঙ্গে দিয়েছে। তার আগে দেখেছি শামীম ওসমান ও আইভী রহমান দাঁত ভাঙা ভাঙি করছে। তার আগে দেখেছি হানিফ এবং হাসানুল হক ইনুর দাঁত ভাঙা ভাঙি চলছে। তার আগে দেখেছি কাজী জাফরউল্লাহ ও নিক্সন চৌধুরী একজন আরেকজনের দাঁত ভাঙছে। এই যে দাঁত ভাঙা ভাঙি চলছে। এখন পারলে দাঁত ভাঙেন ।’
তিনি বলেন, ‘নোয়াখালীর নেতারা বলেছে, ওবায়দুল কাদের পরিবার নাকি রাজাকারের বংশধর। তাদের দাঁত পারলে ভাঙ্গেন।’
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জীবিত নাই। বেগম খালেদা জিয়া বন্দি। তারেক রহমান দেশের বাইরে। এই কারণে মনে করেছেন সুযোগ পেয়েছেন? না, সুযোগ পান নাই। দয়া করে মনে রাখবেন। বিএনপি হচ্ছে সেই গরম পানি, যেই গরম পানি নরম ডিমকে শক্ত করে। শক্ত আলুকে নরম করে। যা করা দরকার তাই করব ইনশাল্লাহ।’
বিএনপি নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি করে আলাল বলেন, ‘যা করেছেন ভালো করেছেন। এবার দয়া করে থামেন। না হলে লুঙ্গিতে মালকাচা দিলেও কাজ হবে না। যখন আপনারা দৌড়াবেন তখন অন্য গ্রুপ বলবে লুঙ্গি ডান্স, লুঙ্গি ডান্স। সেই দিনের জন্য প্রস্তুত থাকেন। জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়ার দিক থেকে হাত সরিয়ে নেন।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল সালাম ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।
নদী বন্দর / জিকে