পদার্থবিজ্ঞানে ২০২৫ সালে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেলেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন ক্লার্ক, ফরাসি বিজ্ঞানী মিশেল এইচ. ডেভোরেট এবং মার্কিন বিজ্ঞানী জন এম মার্টিনিস। বৈদ্যুতিক সার্কিটে ম্যাক্রোস্কোপিক কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল টানেলিং এবং শক্তি পরিমাপ আবিষ্কারের জন্য তাদের মনোনীত করা হয়।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সুইডেনের স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪৫ মিনিট (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে) রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস তাদের নাম ঘোষণা করে।
প্রথা অনুযায়ী, অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার হিসেবে গতকাল ৬ অক্টোবর চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর যথাক্রমে রসায়ন, সাহিত্য, অর্থনীতি, শান্তি— ছয়টি বিভাগে ছয় দিন নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। চলতি বছর চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ৩ বিজ্ঞানী- মেরি ব্রাঙ্কো, ফ্রেড রামসডেল এবং শিমন সাগাগুচি। পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স নিয়ে গবেষণার জন্য তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
সূচি অনুযায়ী, আগামীকাল ৮ অক্টোবর বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে রসায়নে, ৯ অক্টোবর বিকেল ৫টায় সাহিত্যে এবং ১০ অক্টোবর বিকেল ৩টায় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। এ ছাড়া ১৩ অক্টোবর বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম।
প্রসঙ্গত, ১৮৯৫ সালে সুইডিশ উদ্ভাবক এবং সমাজসেবী আলফ্রেড নোবেলের উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি সুইডিশ শিল্পপতি নোবেল ডিনামাইটের উদ্ভাবক ছিলেন। তার মৃত্যুর পাঁচ বছর পর ১৯০১ সাল থেকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ও সম্মানজনক এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
আলফ্রেড নোবেলের উইলে পাঁচটি বিষয়ে পুরস্কারের কথা থাকলেও অর্থনীতিতে পুরস্কার দেওয়ার কথা উল্লেখ ছিল না। পরবর্তীতে ১৯৬৮ সাল ‘দ্য ব্যাংক অব সুইডেনের’ নেওয়া এক বিশেষ সিদ্ধান্তে অর্থনীতিতে পুরস্কার প্রদানের কথা ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে অর্থনীতির পুরস্কারটিও নোবেলের অন্যান্য পুরস্কারের মতো একই সময় ঘোষণা এবং প্রদান করা হয়।
অর্থনীতি পুরস্কারের প্রাইজমানি নোবেলের অন্যান্য পুরস্কারের মতো সমান হওয়ায় সম্মাননার দিক থেকেও একই বিবেচিত হয়। অর্থনীতির পুরস্কারকে ‘বিকল্প নোবেল পুরস্কার’ হিসেবেও অভিহিত করা হয়ে থাকে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্টকহোম ও অসলোতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেওয়া হবে। এ সময় প্রতি বিষয়ের বিজয়ীদের হাতে ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রাউনের চেক, একটি মানপত্র এবং একটি স্বর্ণপদক প্রদান করা হবে। ২০২৩ সালে সুইডিশ ক্রোনারের মূল্যস্ফীতির কারণে প্রাইজ মানির পরিমাণ ১০ মিলিয়ন থেকে বৃদ্ধি করে ১১ মিলিয়ন ক্রোনার করা হয়।
নদীবন্দর/এএস