বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্রের বিকল্প শুধুই গণতন্ত্র। গণভোট বিষয়ে বিএনপির মতামত হলো— জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সদর উপজেলার ও রুহিয়া থানা বিএনপির বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ঠাকুরগাঁও থেকে মনোনীত হওয়ার পর কখনও জয়ী হয়েছি, কখনও পরাজিত হয়েছি, কিন্তু কখনও কাউকে ছেড়ে যাইনি। জনগণই আমার শক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন করে গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা যেন ভুলবশত না হারায়। ফ্যাসিস্টদের কবলে যেন আর না পড়ি, ফ্যাসিস্টদের আর দেখতে চায় না মানুষ। — মন্তব্য করেন তিনি।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, এই নির্বাচন দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত দল। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছয় বছর কারাভোগ করেছেন। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর গুম-খুন-নির্যাতন হয়েছে। তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় নির্বাসিত জীবনযাপন করতে হচ্ছে, তিনি এখনও দেশে ফিরতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ এমন একটি নির্বাচন চায়, যেখানে তারা নিজের প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, যারা ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে ছিলেন, তারা এখন ভিন্নমত দিচ্ছেন। কিন্তু যেসব দাবিতে আমরা রাজপথে আন্দোলন করেছি, সেসব দাবি নির্বাচিত সংসদে সমাধান করতে হবে।
সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি সংস্কার চায়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই সংস্কারের সূচনা হয়েছে, যা এখনও চলমান। কঠিন পরীক্ষা সামনে, গণতন্ত্রের পরীক্ষায় আমাদের উত্তীর্ণ হতে হবে। কারণ গণতন্ত্রই একমাত্র পথ, যা মানুষের ইচ্ছার বিকাশ ঘটায়।
গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, চটকদার খবর নয়, দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও যেন দায়িত্বশীল আচরণ করে।
তিনি জানান, আগামী ১৭ অক্টোবর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি গণতান্ত্রিক সনদে স্বাক্ষর হবে। সাংবিধানিক সংস্কার কমিশনের যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, তা সনদে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আর যেসব বিষয়ে একমত হয়নি, সেগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায় নেবে।
নদীবন্দর/জেএস