বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আজ হাইকোর্টের সামনেই অবস্থান করবেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১টার মধ্যে দাবি না মানলে এদিন শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (অক্টোবর) ‘রোড টু সচিবালয়’ কর্মসূচিকালে শিক্ষকদের আটকে দেওয়ার পর তারা এ ঘোষণা দেন।
শিক্ষক নেতারা বলেন, আজ আমরা এখানে (হাইকোর্টের সামনে) অবস্থান করব। আগামীকাল সকাল ১১টার মধ্যে যদি আমাদের দাবি না মানা হয়, আমরা শাহবাগে অবস্থান নেব। এরপরও যদি দাবি না মানা হয়, আমরা যমুনায় যাব। তারপরও যদি দাবি না মানা হয়, আমরা আমরণ অনশনে যাব।
তারা আরও বলেন, আমাদের আর পিছু হটার সুযোগ নেই। কারণ, আন্দোলন এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। সরকারকে আমাদের দাবি মানতেই হবে—এটি এখন বাস্তবায়ন না করার সুযোগ নেই।
এর আগে বিকেল সোয়া চারটায় লংমার্চ শুরু হলে হাইকোর্টের দক্ষিণ গেটের দুই পাশে ব্যারিকেড দিয়ে শিক্ষকদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিচ্ছিলেন। অধিকাংশ শিক্ষকের মাথায় ‘২০ শতাংশ বাড়িভাড়া’ লিখিত ফিতা বাঁধা ছিল। শত শত শিক্ষক এ সময় স্লোগান দিতে থাকেন। তবে পুলিশ এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রমনা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম শহীদ মিনারে গিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে এবং প্রজ্ঞাপন জারির আশ্বাসে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।
এরপর দুপুর ১২টার দিকে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ আন্দোলনের নেতা অধ্যক্ষ আজিজীকে ফোন করে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ না করার অনুরোধ জানান। এছাড়া সোমবার জামায়াতে ইসলাম, হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামী তিন দল ও ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এসে শিক্ষকদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে তাদের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
গত ১২ অক্টোবর দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলার সময় পুলিশ শিক্ষকদের সরাতে গেলে ধস্তাধস্তি ও সাউন্ড গ্রেনেড (শব্দ বোমা) নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে সংগঠনের নেতাদের আহ্বানে শিক্ষকরা শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকেই লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
অন্যদিকে, সারা দেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বর্তমানে কর্মবিরতি পালন করছেন। তারা প্রতিদিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন না, পাঠদানেও অংশ নিচ্ছেন না। বিদ্যালয়ের আঙিনা, শিক্ষক লাউঞ্জ বা অফিসকক্ষে বসেই তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
নদীবন্দর/এএস