আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বরের তথাকথিত কর্মসূচি নিয়ে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাত আলী।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, কিছুদিন ধরেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ একটি দল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার ছড়িয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টায় লিপ্ত। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সম্প্রতি তাদের নেতাকর্মীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রাজধানীতে জড়ো হয়ে ঝটিকা মিছিলের আয়োজন করছে এবং ককটেল বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।
কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলটির এই হীন অপতৎপরতা রোধে সচেষ্ট রয়েছে এবং ১ অক্টোবর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত মোট ৫৫২ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারদের অধিকাংশই ঢাকার বাইরে থেকে আসা এবং বিভিন্ন ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ককটেল বিস্ফোরণ ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে নাশকতারীদের সনাক্ত করার কাজ চলছে।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার নগরবাসীকে কোনো আগন্তুককে আশ্রয় দেওয়ার পূর্বে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া এবং হোটেল, গেস্ট হাউজে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে অতিথি ওঠানোর অনুরোধ করেন। এছাড়া ব্যক্তিগত ও যেকোন ধরনের বাণিজ্যিক যানবাহন যেন কোনো অবস্থাতে অরক্ষিত না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য নগরবাসীকে অনুরোধ করেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নগরবাসীর ভূমিকার গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ছাত্র-জনতার সফল অভ্যুত্থানে আমরা স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছি। নাশকতার পরিকল্পনাকারীদের একইভাবে সবাই মিলে প্রতিহত করতে হবে।
কমিশনার বলেন, সম্মানিত নগরবাসীই আমাদের শক্তি। তাদের সঙ্গে করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ যেকোন ধরনের নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে সক্ষম। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যগণ সক্রিয় রয়েছেন অতএব নাশকতাকারীদের বিচ্ছিন্ন কর্মকাণ্ডে অহেতুক আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মো. সরওয়ার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলামসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
নদীবন্দর/জেএস