ঝালকাঠি শহরের গুরুধাম এলাকায় সুগন্ধা নদীতে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আকস্মিক ভাঙন দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শুরু হওয়া ভাঙনে ইতোমধ্যে কয়েকটি বসতঘর ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, মঙ্গলবার দুপুরে আকস্মিকভাবে গুরুধাম এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। এতে কয়েকটি বসতঘর নদীতে তলিয়ে যায়। এরপর ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় আরেকটি ঘরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বিদ্যুৎ বিভাগ। ভাঙনে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা নদীতে তলিয়ে গেছে। বর্তমানে ঝুঁকিতে রয়েছে বাসস্ট্যান্ড, একটি বালির খোলা, গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থাপনা ও বসতঘর। নদী তীরের বিশাল এলাকা ধরে নতুন ফাটল শুরু হয়েছে। যেকোনো সময় ভাঙনে এসব স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
স্থানীয় কাউন্সিলর দুলাল হাওলাদারও একই কথা জানান।
এ অবস্থায় ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পেতে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মানববন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকাবাসী। সুগন্ধা নদীর পাড়ে শহরের কৃষ্ণকাঠি গুরুধাম ব্রিজের পূর্ব দিকে শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা এতে বক্তব্য রাখেন।
এর আগে ভাঙনের খবর পেয়ে ভাঙনকবলিত স্থান পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী। এ সময় তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হাসানকে দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, পূর্ব-পশ্চিম দিকে সুগন্ধা নদীর ভাঙনে ১২০ মিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ওই ১২০ মিটারসহ মোট ২২৯ মিটার এলাকায় দ্রুত কাজ করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
নদী বন্দর / পিকে