টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পৌরসভার বাসা বাড়ির ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হচ্ছে বারই খাল এবং আশপাশের ডোবা-নালা। ময়লা আবর্জনার পচা দুর্গন্ধে এলাকার পরিবেশও বিষিয়ে উঠেছে। ময়লা ফেলায় খাল ও ডোবা-নালা ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানির গতিপথ বন্ধ ও খাল ভরাট হয়ে এলাকার পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা সদরের পৌরসভার কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে পৌরসভার কর্মচারীগণ বিভিন্ন বাসাবাড়ির পচা ময়লা আবর্জনা ভ্যান গাড়িতে করে খালে ফেলছেন।
মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ময়লা আবর্জনা ফেলে পৌরসভার খাল ও ডোবা-নালা ভরাট করার কোন সুযোগ নেই। পরিবেশ রক্ষার জন্য সরকারি নির্দেশনায় খাল খননের উদ্যোগ এবং ডোবা-নালা রক্ষার জন্য পৌরসভাকে উদ্যোগ নিতে হবে। উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন তাদের সার্বিক সহযোগিতা করবে।
এদিকে মুল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে পৌরসভার ময়লা আবর্জনা। পৌরসভার নিজস্ব কোন জায়গা না থাকায় ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে বারই খালসহ আশপাশের বিভিন্ন ডোবা-নালায়। ফলে খাল ও ডোবা-নালা ভরাট হয়ে একদিকে যেমন পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তেমনি এলাকার পরিবেশও হুমকির মুখে পড়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৌরসভার কাঁচা বাজারের উত্তর পাশ, পুরাতন রোডের বাইমহাটি, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম, মির্জাপুর সরকারি কলেজের দক্ষিণ পাশে নতুন ব্রিজ সংলগ্ন, পালপাড়া, ইউনিয়নপাড়া, বাওয়ার কুমারজানি, পুষ্টকামুরী, প্রফেসরপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় খাল ও ডোবানাল ময়লা আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের টাঙ্গাইলের উপ পরিচালক মো. মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, পৌর এলাকাবাসী অভিযোগ করলে পৌরসভার সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে খাল ও ডোবা নালা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল বলেন, পৌরসভার নিজস্ব কোন জায়গা না থাকায় ময়লা আবর্জনা বিভিন্ন স্থানে ফেলা হয়। ইউজিপি প্রকল্পের মাধ্যমে ময়লা ফেলার ডাম্পিং ব্যবস্থা করা হবে। স্থানীয় এমপি মহোদয়, উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় পৌরসভার খাল, ডোবা-নালা উদ্ধার করা হবে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ কালভার্টসহ সার্বিক উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পৌরসভার বিভিন্ন প্রকল্পের দ্রুত উন্নয়ন করা হবে বলে উল্লেখ করেন।
নদী বন্দর / জিকে