ফরিদপুর পৌর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়নে পরিচালিত টেপাখোলা গরুর হাটটি মানুষের ভোগান্তিতে পরিণত হয়েছে। হাজারো গরুর বর্জে দুঃগন্ধ আর আবর্জনার স্তপে অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি তৈরী হয়। প্রধান সড়ক অবরুদ্ধ করে হাট সম্প্রসারণ হয় মাঝে মধ্যে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরু নিয়ে আসা মটর যান ট্রাকগুলো দীর্ঘ যান জটের সৃষ্টি করে। মানুষের চলাচলে ভোগান্তির শেষ থাকে না। গরুর হাট সংলগ্ন ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি ইয়াছিন কলেজ এর শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন দুঃগন্ধ আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে দিয়েই অধ্যায়ন করে থাকে।
সংলগ্ন এলাকাবাসী জানান, হাটের পাশে টেপাখোলা বাজার, বাজারের বজ্র দীর্ঘকাল ধরে আমাদের ক্ষতি করছে তারপরে এই বিশাল গরুর হাটের বজ্র কি অবস্থায় ফেলতে পারে তা যারা এই এলাকায় বাস করেন তারাই বলতে পারে। হাটের পশ্চিম ও উত্তর অংশে সরকারি খাদ্য ও সার গুদাম রয়েছে। দক্ষিণ অংশে পশু সম্পদ গবেষণা ও চিকিৎসা কেন্দ্র আর সবই আবাসিক এই ধরনের গরুর হাট শহর পর্যায় মানায় না। জন স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ হাটটি অনত্র সরিয়ে নেবেন বলেও আমাদের প্রত্যাশা। হাটের জমিটি শুধু পৌর কর্তৃপক্ষের নয় জেলা পরিষদ রয়েছে। এই জমিতে বর্তমান আধুনিক সময়ে মানুষের শিক্ষা বা সেবা ধর্মী কিছু হতে পারে।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বার্ষিক ভাবে নতুন ইজারা পাবার কথা রয়েছে। ফরিদপুর পৌসভার সচিব তানজিলুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, হাটের মধ্যে পৌর সভা ও জেলা পরিষদের জমি আছে সত্য গত বছর এই গরুর হাটটি তিন কোটি সাতাশি লক্ষ টাকায় ইজারা পায় শ্রাবণী কনস্ট্রাকশন। ইজারা কর্তৃপক্ষ পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে যথাযথ বিধান মানছে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
নদী বন্দর / এমকে