1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
ফরিদপুর যুবলীগের নেতৃত্বে আসার লড়াইয়ে জোড় লবিং করছে নেতা কর্মীরা - Nadibandar.com
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
ফরিদপুর প্রতিনিধি :
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ২০৭ বার পঠিত

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ফরিদপুর জেলার রাজনীতিতে নেতৃত্বে পরিবর্তন চাচ্ছে তৃণ মূল নেতা কর্মীরা। সাম্প্রীতিক সময়ে কেন্দ্রীয় কমিটি নানা অনিয়ম ও বির্তকের কারনে ফরিদপুর জেলা যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। বেশ কিছু দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে।

ত্যাগী, বঞ্চিত, নির্যাতিত নেতাকর্মীদের নিঃশ্বাস নেবার সু-ব্যবস্থা করে দেবার জন্য উন্নয়নের অগ্রগতিতে হেটে যাওয়া সফল বাংলাদেশের রাষ্ট্র প্রধান শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে সর্বস্থরের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি প্রকৃত রাজনৈতিক মাঠে লড়াই সংগ্রামে যারা নিবেদিত ছিল তাদের মধ্যে থেকে যোগ্য ব্যক্তিকে নেতৃত্বে আনলে দলীয় কর্মকান্ড শক্তিশালী হবে।

গত কয়েকদিন ধরে ফরিদপুর জেলা যুবলীগের রাজনীতিতে পদ পদবী পাবার প্রত্যাশায় অনেক নেতাকর্মী জোর লবিং করছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক ভিপি, জি.এস ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি তাওফিক হোসেন পুচ্চি, রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক জি.এস ও সাবেক থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদুজ্জামান রেসাদ, বর্তমান থানা যুবলীগের সভাপতি ও জজ কোর্টের এপিপি ও সাবেক ইয়াছিন কলেজের এজিএস এ্যাভোকেট মিজানুর রহমান মিজান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দেবাশীষ সরকার বাবু, বর্তমান থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মোঃ এমার হক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইয়াছিন কলেজের সাবেক জি.এস খন্দকার জাবির শফি দিনার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট সানোয়ার হোসেন, ইয়াছিন কলেজ ছাত্রলীগের তুখর নেতা শ্রমিক জননেতা মরহুম হাসিবুল হাসান লাবলুর পুত্র শরিফুল হাসান প্লাবন, ডিগ্রীর চর যুবলীগের আহবায়ক বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু ফকির, কৈজুরী ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ অসংখ্য নেতৃবৃন্দ। জেলা যুবলীগের নতুন কমিটিতে নেতৃত্বে আসতে চান তাদের মধ্যে থেকে রাশেদুজ্জামান রেসাদ বলেন, প্রকৃত ছাত্র রাজনীতি করা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করা পরীক্ষীত নেতাকর্মীদের মাধ্যমে গড়ে উঠুক ফরিদপুর যুবলীগ। আর যেন পরিবার তন্ত্র আর পকেট কমিটি না হয়। তাওফিক হোসেন পুচ্চি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে। দলীয় সভানেত্রী মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় কাজ করছি।

আমার পিতা মরহুম দেলোয়ার হোসেন ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ ছিলেন। তার কাছ থেকে মানুষকে ভালবাসার মাধ্যম শিখেছি। বর্তমান সময়ে মিথ্যা মামলা ও সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হতে হয়েছে। এ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে এসে যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছি। কোন লোভ লালসা আমাকে স্পর্শ করেনি। জননী, প্রধানমন্ত্রী যদি কোন দায়িত্ব দেন আমি দলকে সুসংগঠিত করবো।

একই কথা বলেন থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ এমার হক। ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি দেবাশীষ সরকার বাবু ও এ্যাডভোকেট সানোয়ার হোসেন বলেন, রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান সুযোগ পেলে কাজের মাধ্যমে প্রমাণ দিবো। অন্যদিকে ফরিদপুরের আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও আস্থার প্রতিক হিসেবে পরিচিত শ্রমিক জননেতা মরহুম হাসিবুল হাসান লাবলুর পুত্র শরিফুল হাসান প্লাবন বলেন, আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে আমার বাবা জীবন যৌবন উজার করে দিয়েছিলো।

পিতার মৃত্যুর পর আমাদের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। নানা ভাবে আমাদেরকে নির্যাতন করা হয়েছে। তারপরও আমরা আওয়ামীলীগের আদর্শে পথ হাটছি। আমার মা ঝর্না হাসান অনেক দুঃখ বেদনা বহন করে নেত্রীর দেওয়া সম্মানের জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ গ্রহণ করে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি সুযোগ দেন আমার পিতার মত আমিও চেষ্টা করবো আওয়ামীলীগের হাতিয়ার হয়ে কাজ করে যাওয়ার। ডিক্রীরচর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান মিন্টু বলেন, আমার পিতা মরহুম হাবিবুর রহমান ফকির ফরিদপুরের চরাঞ্চলে পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় আওয়ামীলীগের দায়িত্বে থেকে মানুষের জন্য করে গেছে। বি.এন.পি জামাত সরকারের আমলে আমরা হামলা মালার স্বীকার হয়েছি এমনকি জীবন বাঁচাতে দেশ ত্যাগ করেছিলাম। বর্তমান সময়েও কিছুদিন আগে হাইব্রিড দ্বারা হামলা মালায় নির্যাতিত হয়েছি।

দায়িত্ব পেলে কাজ করে যাবো। ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার জাবির শফি দিনার বলেন, ০১/১১ সময়ে রাজনৈতিক মামলায় কারাবরণ করেছি। ২০১১ সালের ৪ অক্টোবর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের নির্দেশে আমার চাচা হাসিবুল হাসান লাবলু ও আমার বাড়িতে সন্ত্রাসীরা হামলা ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করেছিলো। তখন উল্টো আমাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা করা হয়েছিল। ২০০৬ সালে জামাত অফিস হামলার মামলায় ভোগান্তিতে ছিলাম বিভিন্ন ভাবে ১৭টি মামলা দেওয়া হয়েছিল আমার নামে। তবুও রাজনীতি থেকে সরে যাইনি জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় শেখ হাসিনা আমার আদর্শের নিশ্বাস ও বিশ্বাস।

নদী বন্দর / পিকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com