বাণিজ্যিকভিত্তিতে কফির আবাদ শুরু হয়েছে টাঙ্গাইলের মধুপুরে। ব্যক্তি উদ্যোগে কয়েকজন কৃষক কফির চাষ শুরু করেছেন। ফলনও পেয়েছেন ভালো। সফলতা দেখে কফি চাষে আগ্রহী হয়েছেন অনেকে। বাগান দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছে বহু মানুষ। কৃষি বিভাগ বলছে, মধুপুরের মাটি কফি চাষের উপযোগী।
মধুপুরের মহিষমারা গ্রামের কৃষক সানোয়ার হোসেন। তিন বছর আগে ৬৫ শতাংশ জমিতে ছয়শ’ কফির গাছ লাগান। এর মধ্যে চারশ’ ৫০টি এরাবিকা এবং দেড়শ’টি রোবাস্তা জাতের। গত বছর কিছু ফল আসে। সেগুলো দিয়ে বীজতলা করে চারা করেন। বড় করেন বাগান।
চলতি মৌসুমে ফল ধরেছে প্রচুর। এরই মধ্যে পাকতেও শুরু করেছে। সময় হয়েছে ফসল তোলার। সফলতায় দারুণ খুশি সানোয়ার।
মধুপুরের কফি চাষী সানোয়ার হোসেন বলেন, দামের দিকটি চিন্তা-ভাবনা করে আমি কফি আবাদে উদ্বুদ্ধ হই। আমি আশাবাদী যে, এই কফি চাষ করে সফল হবো। এটি প্রসিসিং করার জন্য যত ধরনের মেশিনারিজ বা টেকনিক্যাল সাপোর্ট প্রয়োজন তা আমি পাচ্ছি।
দেশের প্রথম কফি বাগান দেখতে প্রতিদিন এখানে আসছেন অনেকে। কফি চাষে আগ্রহের কথাও জানান তারা। কেউ কেউ কফি চারাও সংগ্রহ করছেন।
এরকম কয়েকজন জানান, আমি দেখতে এসেছি, এই কফি বাগান দেখে আমার ভালো লেগেছে। আমিও মনে মনে আগ্রহ প্রকাশ করছি যে, ভবিষ্যতে একটা কফি বাগান করবো। সানোয়ার ভাইর কাছে এসে জেনে নিচ্ছি কফি আবাদে কি কি প্রয়োজন হয়।
কৃষি বিভাগ বলছে, দেশের কৃষিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এখানকার ফলন ও কফির মান আন্তর্জাতিক মানের বলেও জানান কর্মকর্তারা।
টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আহ্সানুল বাসার বলেন, যে কোন আন্তর্জাতিক মানের কফির চেয়ে ভালো। আরও ১৬ জন কৃষক আমরা নির্বাচন করেছি। তাদেরকেও আপাতত দেড়শ’ করে চারা দিয়ে একটা কফি বাগান করে সে বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করছি আমরা।
মধুপুরে কফি চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নদী বন্দর / জিকে