ভারতের বর্কলে ল্যাবরেটরিতে বিজ্ঞানীরা একটা নতুন ধাতুর সন্ধান পেয়েছেন ৷ এর নাম দেয়া হয়েছে মহাবিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের নাম অনুযায়ী। ধাতুটির নাম আইস্টেনিয়াম।
জানা গেছে, এই ধাতু প্রথম হাইড্রোজেন বোমার ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া গিয়েছিল। ধাতুটির ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছেন গবেষকরা।
প্রথম হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণ ১ নভেম্বর ১৯৫২ সালে হয়েছিল। প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে এই বিস্ফোরণ হয়েছিল। বিস্ফোরণের অভিঘাত থেকে যে ধ্বংসাবশেষ হয়েছিল তাতে এই নতুন ধাতু পাওয়া গিয়েছিল।
রেডিওঅ্যাক্টিভ এই ধাতুর সম্পর্কে জানতে সে সময় থেকেই রিসার্চ চলছে। এতে এত সক্রিয় উপাদান ছিল, যে সেটা নিয়ে খুব বেশি কাজ করছিল। ধাতু প্রচণ্ড রেডিওঅ্যাকটিভ ছিল। যার প্রয়োগ করা যাচ্ছিল না। এর থেকে বিকিরণ হয়। যা আশপাশের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
যেসব বিজ্ঞানী এই ধাতু নিয়ে কাজ করছিলেন তাদের জন্য জীবনহানীর সম্ভবনাও থাকত। এরপর গামা কিরণ বিকিরণ করছিল। যার থেকে জীবনহানীর ভয় থাকত।
বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নালে স্টাডি থেকে জানা যায়, ৫০ এর দশকে ছোট দ্বীপ এলুগেলাবে হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। এই বোমায় যে ক্ষতি হয়েছিল যা নাগাসাকির পরমাণু বিস্ফোরণের থেকে ৫০০ গুণ জোরালো হয়েছিল।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এই ধাতুর রঙ রূপার মতো ৷ আর খুবই নরম এই ধাতু। পাশাপাশি অন্ধকার হলে তাতে নীল রঙ দেখা যায়। খুব দ্রুত রেডিওঅ্যাক্টিভ হওয়ায় তা ক্ষতিকারক হয়। যার জন্য বেশিক্ষণ একে দেখা যায় না। রেডিওঅ্যাক্টিভ ধাতু হওয়ায় রাসায়নিকভাবে এই ধাতুর প্রয়োগ হওয়া সম্ভব আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।
নদী বন্দর / এমকে