বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে এবং তাদের কুকীর্তি আর আল জাজিরার প্রতিবেদন অন্যদিকে প্রবাহিত করতে শহীদ জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব কেড়ে নিতে চায়। কিন্তু খেতাব কেড়ে নিয়ে জিয়াকে জনগণের মন থেকে মুছে ফেলা যাবে না।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আজকে দেশে অনেক তন্ত্র আছে। আওয়ামী লীগের মিথ্যা তন্ত্র আছে। কিন্তু গণতন্ত্র নেই। আজকে গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে আমাদের এই আন্দোলন। গণতন্ত্রের প্রতীক দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে অন্যায়ভাবে কারাগারে রাখার পর এখন গৃহবন্দি করে রেখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের একজন মন্ত্রী বলেছেন, সরকারের কুকীর্তি নিয়ে আল জাজিরার রিপোর্টের পেছনে বিএনপি-জামায়াতের হাত আছে। আসলে তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে বলবে, বাংলাদেশে করোনা মহামারির পেছনেও বিএনপি-জামায়াতের হাত রয়েছে। আওয়ামী লীগ বিকৃত রুচিতে ভুগছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার কুকীর্তি করে, গণতন্ত্র হত্যা করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হত্যা করে মাফিয়া তন্ত্র কায়েম করেছে। এখন নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ জিয়ার খেতাব কেড়ে নেয়ার চক্রান্ত করছে। আমি বলতে চাই, তাকে অপমান করে কোনো লাভ হবে না।
তিনি বলেন, আগামীতে জনগণ তাদের বিচার করবে যারা ক্যাসিনো করে, ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। জনগণ এখন সেই প্রস্তুতি নিচ্ছে।
রিজভী বলেন, নেয়াখালীতে ওবায়দুল কাদের দুটি গ্রুপ তৈরি করে রেখেছেন। সেখানে তার ভাই মির্জা কাদেরের আন্দোলনে নিরীহ সাংবাদিক মুজাক্কিরকে প্রাণ দিতে হলো। এই হত্যাকাণ্ডের দায় প্রধানমন্ত্রীর। এই হত্যার দায় ওবায়দুল কাদেরের। তবুও তাদের কোনো অনুশোচনা নেই। ওদের সমস্ত লজ্জা-শরম ধুয়ে-মুছে নিচে ফেলে দিয়েছে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের অপচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধনের আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব অধ্যাপক ডা. আবদুস সালামের পরিচালনায় একে অংশ নেন ড্যাবের সহ-সভাপতি ডা. সিরাজুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মেহেদী হাসান, যুগ্ম মহাসচিব ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, ডা. এরফানুল হক সিদ্দিকী, ডা. শেখ ফরহাদ প্রমুখ।
নদী বন্দর / জিকে