বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীন নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা রেলস্টেশন ও তার আশপাশের রেললাইন সংলগ্ন বেশ কিছু জমি বেদখল ও জাল দলিল তৈরী করে তা সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রির অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় এস্টেট অফিসার কাননগো মোঃ রুহুল আমিন বাদী হয়ে মনারকান্দা গ্রামের গ্রামের মৃত মোস্তাক আহমেদের পুত্র ইসতিয়াক আহমেদ, ইমরান আহমেদ ও ইমতিয়াজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ, মনারকান্দা গ্রামের ইসতিয়াক আহমেদ ২০১৭ সালে রেলওয়ের ভূ সম্পত্তি বিভাগ থেকে পূর্বধলা মৌজাস্থ বি এস ২০৫৭ ও ২১২৫ দাগের অব্যবহৃত জমি কৃষি কাজে ব্যবহারের জন্য লিজ নেয়। পরে লিজের শর্ত ভঙ্গ করে এই জমিতে ১০ ফুট বাই ১৫ ফুট দোকান ঘর নির্মাণ করে অন্যের কাছে ভাড়া দিয়ে সে মোটা অংকের অর্থ আদায় করছে। বাকী ৩ শতাংশ রেলেও জমি ১০ লাখ টাকা শতাংশ হিসেবে ৩০ লাখ টাকায় অন্যের কাছে বিক্রি করে দেয়। এছাড়াও রেলের অব্যবহৃত জমি কিছু অসাধূ ব্যাক্তি কৃষি কাজের জন্য লিজ নিয়ে সেখানে পাঁকা দালান নির্মাণ আবার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি জোর করে বেদখল ও বেচা- কেনা করায় স্থানীয় সচেতন মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
ইসতিয়াক আহমেদের রেলের জমি বিক্রির বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষের নজরে আসায় তারা ইসতিয়াক আহমেদকে নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশের কোন জবাব না দেয়ায় রেলওয়ের বিভাগীয় এস্টেট অফিসার কাননগো মোঃ রুহুল আমিন বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১২/২০১৯। মামলা দায়েরের পর ইসতিয়াক গংরা স্থানীয় রেল কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে ম্যানেজ করে মামলাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। এর ফলে রেল বিভাগ এর সুফল পাচ্ছে না।
এদিকে ইসতিয়াক গংরা মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য নানা ধরণের ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শণ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক রেল কর্মকর্তা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রেলওয়ের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা রেলের জমি উদ্ধারে আইনী সহায়তা প্রদান না করলে এবং মামলাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করলে তাদের পক্ষে রেলের জমি উদ্ধার করা সম্ভব নয়। তিনি এ ব্যাপারে রেল বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
নদী বন্দর / এমকে