৪৮ বছর পর বন্দরের বহির্নোঙরকে ঝুঁকিমুক্ত করতে উদ্যোগ নিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ডুবে থাকা জাহাজ ও জলযান চিহ্নিত করতে আহবান করা হয়েছে আন্তর্জাতিক দরপত্র। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার এবং মুক্তিযোদ্ধারা চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেলে অনেক জাহাজ ডুবিয়ে দেয়। এতে বন্দর চ্যানেল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। বঙ্গবন্ধু সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তায় বন্দর চ্যানেল পরিস্কার করা হয়।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সদস্য মো. জাফর আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু এই চ্যানেলকে পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। সেই সময় বঙ্গবন্ধু সোভিয়েত ইউনিয়ন সফর করেছিলেন, তখন এ বিষয়ে ওই দেশটির সহযোগিতা চেয়েছিলেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তায় অল্পতম সময়ের মধ্যে এই চ্যানেলকে পরিষ্কার করা হয়েছিল।
১৯৭২ সালের পর বন্দর চ্যানেল আর পরিস্কার করা হয়নি। গত ৪৮ বছরে চ্যানেলের আশপাশে এবং বহির্নোঙরে কমপক্ষে ১৮টি লাইটার জাহাজ বা ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এগুলো চিহ্নিত করে সরাতে চায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
জাফর আলম আরও বলেন, যারা ডুবো জাহাজ পরিষ্কার করে অথবা স্টাডি করে তাদেরকে দিয়ে স্টাডি করানো যে, কি পরিমাণ র্যাকেজ এখানে আছে এবং এগুলো পরিষ্কার করতে কি পরিমাণ ব্যয় হতে পারে। এরকম স্পষ্ট একটা ধারণা আমাদেরকে দিবে। তখন আমরা এই সমীক্ষার প্রতিবেদন দিয়ে দেখবো যে, আসলে এগুলো তোলা কতোটা যৌক্তিক।
বহির্নোঙরে জাহাজ ডুবি হলে নাব্যতা হ্রাস পায়। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে জাহাজ চলাচল।
আয়ার শিপিং সার্ভিসের ক্যাপ্টেন সৈয়দ ইমাম হোসেন বলেন, চ্যানেল যেহেতু বড় নয়, একটা জাহাজ ডোবার পরে তখন ওই এরিয়াটা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে এবং সংকুচিত হওয়ার কারণেই জাহাজগুলো ক্রমান্বয়ে বিপদগামী হয়ে পড়ছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর ঝুঁকিমুক্ত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে শিপিং এজেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।